নিজামুদ্দিনের ঘটনায় ব্ল্যাক লিস্টেড ৯৬০ জন জামাত সদস্য ৪১টি দেশের নাগরিক, তথ্য দিল কেন্দ্র

Spread the love

দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদে তবলিঘ-ই-জামাতে যোগ দেওয়া ৯৬০ জন বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবারই তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হল পৃথিবীর ৪১টি দেশ থেকে দিল্লির মসজিদে এসেছিল এই জামাত সদস্যরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথ্য দিয়ে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছিল ৩৭৯ জন, বাংলাদেশ থেকে ১১০ জন, কিরঘিজস্তান থেকে ৭৭ জন, মায়ানমার থেকে ৬৩ জন এবং তাইল্যান্ড থেকে ৬৫ জন এসেছিল। এছাড়াও উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ-সহ মোট ৪১টি দেশের নাগরিকরা যোগ দিয়েছিল নিজামুদ্দিনের মসজিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

গৃহমন্ত্রকের ইমিগ্রেশন বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, এরা প্রত্যেকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিল। কিন্তু ভারতের আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

নর্থ ব্লকের তরফে বলা হয়েছে, এই বিদেশিদের মধ্যে ২১৬ জন এখনও নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদের ছ’তলার ডরমেটরিতে রয়েছেন। গতকাল দুপুরে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এদের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে। কবে তারা ভারতে এসেছে, কোথায় কোথায় গিয়েছে ইত্যাদি প্রভৃতি।

দিল্লির মসজিদে যারা এসেছিল তাদের মধ্যে প্রথম ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই ১১ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তাদের পরীক্ষা হয় হায়দরাবাদে। তেলেঙ্গানায় ৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে যারা দিল্লির ওই মসজিদে যোগ দিয়েছিল। মসজিদের প্রধান মৌলানারও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও তিনি এদিন অন্তরালে থেকে একটি ভিডিওবার্তায় বলেছেন, কোয়ারেন্টাইনে আছেন। অন্যদের পরামর্শ দিয়েছেন, চিকিৎসকদের কথা মতো চলতে।

এখনও পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরে তামিলনাড়ুতে ৫০ জন, দিল্লিতে ২৪ জন, তেলেঙ্গানায় ২১ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ২১জন, আন্দামানে ১০ জন, অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একজন করে মানুষের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বাংলারও ৭৩ জন জন দিল্লির মসজিদে যোগ দিয়েছিল। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাদের মধ্যে ৫৪ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন করানো হয়েছে।

নিজামুদ্দিনের ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। সব রাজ্যগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বলা হয়, দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*