করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে কালিম্পংয়ের এক মহিলার। এবার তাঁর পরিবারেরই ৬ জনের দেহে মিলল সংক্রমণ।
ওই মহিলার পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে জলপাইগুড়ির রানিনগর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। বুধবার তাঁদের ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৬ জনই করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলেঘাটা নাইসেড থেকে ওই ১০ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা যায় তার মধ্যে ৬ জনের দেহে সংক্রমণ রয়েছে। এর পর রাতে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন থেকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা আরও অন্তত ২৭ জন কালিম্পংয়ে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। ১৬ মার্চ জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। উপসর্গ থাকায় মহিলার লালা রস পরীক্ষা হয়। কালিম্পং-এর বাসিন্দা ওই মহিলার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মেলে। উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এরপর ওই মহিলার হয়। ওই মহিলার বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে জানা যায়। তার প্রাণ বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চেন্নাই গিয়েছিলেন ওই মহিলা। চেন্নাই থেকে ফিরে আত্মীয়র বাড়িতে ওঠেন। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের প্রথমে তার ভিন রাজ্য থেকে আসার রেকর্ড দেননি ওই মহিলা। এমনকি ওই মহিলার বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই নতুন করে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবরকম চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। দেওয়া হয় প্যারাসিটামল সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ। গত রবিবার রাতে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। শেষমেষ রাত দুটো নাগাদ মৃত্যু হয় কালিম্পং এর বাসিন্দা ওই মহিলার।
এই ৬ জন ছাড়াও দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্সের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং সুপার তিনি। বাড়ি দমদম বিমানবন্দর চত্বরে। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আরও ৭ জনের দেহে মিলল করোনা সংক্রমণ।
Be the first to comment