গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহ, কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে রবিবার দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু বাড়ল তা এখনও বলা যায় না।
শনিবার সকালে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহেশতলার এক যুবকের। তাঁর লালরসের নমুনা আগেই পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। মৃত্যুর পর রিপোর্টে দেখা যায় করোনা পজিটিভ। যদিও তিনি হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ ভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াও তাঁর শরীরে অন্য কোনও রোগ ছিল। এখন তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে ভাইরাসের সংক্রমণকে কারণ হিসাবে গণ্য করা হবে কিনা তা স্বাস্থ্য ভবনের বিবেচনাধীন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক রেলকর্মীর। প্রথমে রিপোর্ট কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল এই ব্যক্তির। হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কালিম্পংয়ের যে মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকদিন আগে তাঁর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল এই রেলকর্মীকে। বাড়ি ফেরার পর ফের অসুস্থ হন তিনি। তখন পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে বলে সূত্রের খবর।
শনিবার রাতে পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে হুগলির শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির।
করোনা পজিটিভ হলেও তাঁর যদি অন্য কোনও রোগ থাকে তাহলে বাংলায় করোনার কারণে মৃত্যু বলছে না স্বাস্থ্য ভবন। গত সপ্তাহেই নবান্নের তরফে বলা হয়েছিল, কেউ কিডনির অসুখ বা কেউ অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাজ্য সরকার গঠিত চিকিৎসকদের এক্সপার্ট কমিটির কথাও এজন্য খণ্ডন করে স্বাস্থ্য ভবন। কারণ, নবান্নের অলিন্দে দাঁড়িয়ে এক্সপার্ট কমিটির সদস্যরা তিন দিন আগে বলেছিলেন, বাংলায় করোনা সংক্রমণে তখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ঘন্টা খানেকের মধ্যেই মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, মৃতের সংখ্যা তিন।
সুতরাং বাংলায় করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা এখনও সরকারি ভাবে তিন। এখন অপেক্ষা স্বাস্থ্য ভবনের পরবর্তী বুলেটিনের।
Be the first to comment