করোনা সংক্রমণের জেরে আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের নীতি অনুসরণ করে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
করোনা সঙ্কটের ধাক্কায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন এক বছরের জন্য ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালেরাও ‘স্বেচ্ছায়’ নিজেদের বেতন ৩০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন বা এমপিল্যাড তহবিলে খরচও আগামী দু’বছর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, “কোভিড ১৯ এর সঙ্গে লড়ায়ে নেমে প্রধানমন্ত্রী-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা ৩০ শতাংশ করে বেতন দিচ্ছেন। বেতনের ৩০ শতাংশ ছাড়তে রাজি রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালরাও।আবেদন জানাচ্ছি রাজ্যের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে যাতে তারাও এক বছরের ৩০ শতাংশ বেতন দিয়ে করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করে।”
যদিও রাজ্যপালের তরফ এ মঙ্গলবার সকালে এই ট্যুইটের পর অবশ্য রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী কিংবা বিধায়ক হিসেবে কোনও বেতন নেন না। এমনকি প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে তিনি কোনও পেনশনও নেন না বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment