তবলিঘি জামাতের জমায়েত থেকে করোনা আক্রান্ত ৩২৯, স্যানিটাইসড হচ্ছে নিজামুদ্দিন

Spread the love

তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় জমায়েতের পরথেকেই দেশের অন্যতম করোনা হটস্পট নিজামুদ্দিন। দিল্লি সরকারের তরফে এক লাখ করোনা পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে।

নিজামুদ্দিন অঞ্চলের মার্কাজের বাইরে এই স্যানিটাইজেশনের কাজ করছে দিল্লি দমকল বিভাগ এবং দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় জমায়েত থেকে COVID-19 পসিটিভ বেরিয়েছে ৩২৯ জন মানুষ।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ধর্মসভায় উপস্থিতদের মধ্যে ৯৪ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১৩ জন কিরগিস্তান থেকে, ৯ জন বাংলাদেশের, ৮ জন মালয়েশিয়ার, ৭ জন আলজিরিয়ার। এছাড়া তিউনিশিয়া, বেলজিয়াম ও ইতালি থেকে ১ জন করে এসেছিলেন। আর বাকিরা ছিলেন ভারতীয়।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, “দিল্লির ওই তাবলিগ জামাত থেকে দেশের ১৪টি রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই তাবলিগি জামাতের সঙ্গে যুক্ত অন্তত ১২ জন ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন”।

মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে মার্কাজ নিজামুদ্দিনের ওই তবলিগি জামাতে ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। ছিলেন বাংলাদেশিও। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ওই সমাবেশে। ভারতের একাধিক রাজ্যে রাজ্য সরকার ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ নিয়ে দেশে সবচেয়ে বড় মাথাব‌্যথার নাম নিশ্চিতভাবেই দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলের জমায়েত। ঠিক ওই অঞ্চলে কতজন জমায়েত করেছিল, তার মধ্যে কতজন বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তার কোনও সঠিক হিসাব মিলছে না। তাই সবার আগে যা প্রয়োজন তা হল ঠিক কারা ওই জমায়েতে এসেছিলেন তাঁদের খুঁজে বের করা। অনেকেই লুকিয়ে রয়েছেন। আর কারা সেখানে এসেছিলেন আর কাদের সঙ্গেই বা যোগাযোগ করেছিলেন, তা খুঁজতে এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মোবাইল ফোন।

দিল্লি পুলিশও মোবাইল ফোনের ডেটা ট্র‌্যাক করেই খোঁজ পেতে চাইছে তবলিঘি জমায়েতের সঙ্গে সামান‌্যতম যোগ থাকা মানুষগুলোর। এখনও পর্যন্ত দেশে যতজন করোনা রোগীর হদিশ মিলেছে তার মধ্যে হাজারের উপর রোগীরই তবলিঘি জমায়েতের সঙ্গে যোগ রয়েছে। প্রশাসনের ‘সামাজিক দূরত্ব’ মেনে চলার নির্দেশ অমান‌্য করে এবং রোগের পরোয়া না করেই এঁরা যোগ দেন বাংলাওয়ালি মসজিদের এই জমায়েতে। এঁদের মধ্যে অনেকেই এতদিনে দেশে-বিদেশের বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন এবং অজান্তেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছেন।

গোষ্ঠী সংক্রমণে লাগাম টানতে বাংলাদেশেও বন্ধ করা হয়েছে তবলিঘি জামাতদের জমায়েত। ভারতের থেকে শিক্ষা নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*