ভারত যদি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন সরবরাহ না করে তাহলে তার ফল ভুগতে হবে। সোমবার হোয়াইট হাউজ থেকে দিল্লির উদ্দেশে এমনই প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুঝিয়ে দিলেন, শুধু সম্পর্ক খারাপ হবে তাই নয়, প্রয়োজনে প্রতি-ব্যবস্থা নিতেও দ্বিতীয় বার ভাববেন না। তাঁর কথায়, “আমি অবাক হব যদি নরেন্দ্র মোদি ওষুধ না সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেন। এমন সিদ্ধান্ত আমি তাঁর কাছ থেকে আশা করি না।
ট্রাম্প বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক ভালো। আমি জানি, অন্য দেশগুলির জন্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে এই ওষুধের। কিন্তু গতকালই তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তাই তিনি যদি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেন আমি সত্যিই অবাক হবো।”
মার্চের শেষের দিকে গবেষণার পর চিকিৎসকদের একাংশ জানান, ম্যালেরিয়ার ওষুধে কিছুটা কমতে পারে কোরোনার ক্ষমতা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এবিষয়ে সহমত পোষণ করেন। বিষয়টিতে মান্যতা দেয় ICMR-ও। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থা বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বলা হয়, শুধুমাত্র বিশেষ কোনও পরিস্থিতি, মানবিক আবেদন বা বিদেশে কোনও ভারতীয়ের চিকিৎসার জন্যই এই ওষুধ রপ্তানি করা যেতে পারে। ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। কারণ ভারতে যদি কোরোনা থাবা বসায় তাহলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ কম পড়ে যাবে।
কিন্তু কোরোনা মোকাবিলায় রবিবার ভারতের কাছ থেকে সাহায্য চায় অ্যামেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ট্রাম্প এই ওষুধ সরবরাহের জন্য আবেদন জানান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু দু’দিন পেরোতে না পেরোতেই গতকাল প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বসেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, “বিগত কয়েকবছরে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যদি হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন সরবরাহ না করে তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু অবশ্যই এর ফল ভোগাবে অ্যামেরিকা।”
Be the first to comment