করোনা আতঙ্কের মাঝেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলা। এদিন বাঁকুড়াতে সকালে সাড়ে ১১টায় কম্পন অনুভূত হয়। মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে হঠাত কম্পনে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।
পরপর দুটি ভুমিকম্প অনুভূত হয় বাঁকুড়ায়। প্রথমটি ১১.১৯ মিনিটে, উৎসস্থল লাক্ষাদ্বীপ, মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল এর উৎসস্থল, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৪। ২ সেকেন্ড স্থায়ী হয় এই কম্পন। দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয় ১১.২৪.০২ মিনিটে। উৎসস্থল দুর্গাপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার নীচে। রিখটার স্কেলে কম্পন মাত্রা ছিল ৪.১। তবে এই জোড়া কম্পনের তথ্য দিচ্ছে মেটেরলজিক্যাল বিভাগ, বাঁকুড়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর শুধুমাত্র দ্বিতীয় কম্পনের তথ্য দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১.৩৩.২৮ মিনিটে সিকিমে একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। কম্পন মাত্রা ছিল ৩.১। তার থেকে বাঁকুড়ার কম্পনমাত্রা বেশ কিছুটা বেশি তা স্পষ্ট। পূর্ব সিকিমের এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটির ৫ কিলোমিটার গভীরে।
বুধবার সকাল ১১ টা ২৪ নাগাদ এই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির কোন খবর নেই। প্রতিবেশী জেলা পুরুলিয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে আবার জ্বলছে শুশুনিয়া পাহাড়।
এক দিকে ‘করোনা’ সতর্কতায় ‘লক ডাউনে’ মানুষ গৃহবন্দি। কম্পনে ভয়ে ‘লক ডাউনে’ বাড়িতে আটকে থাকা অনেকেই বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেককেই আবার শাঁখ বাজাতেও দেখা যায়। প্রত্যাশিতভাবেই নেটিজেনরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ওয়াল জুড়ে ‘ভূমিকম্প’ নিয়ে নানান পোষ্টে ভরিয়ে দিচ্ছেন।
Be the first to comment