গত কয়েকদিন ধরে তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে রকম দাবি তুলতে শুরু করেছেন, তাতেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা সেই মর্মেই সায় দিলেন। তার পর প্রধানমন্ত্রীও কার্যত বুঝিয়ে দিলেন লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতেই হবে।
সর্বদল বৈঠকে সব জাতীয় ও আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর মত দেন। তিনি বলেন, লকডাউন তুলে নেওয়া মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। বরং লকডাউন এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-ই একমাত্র রাস্তা যা দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, গোটা বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশই লকডাউন এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের পথে হাঁটছে। আপনারাও (অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা) পরামর্শ দিয়েছেন লকডাউন তুলে নেওয়া ঠিক হবে না। ধাপে ধাপে এর থেকে বোরোতে হবে। তা ছাড়া জেলা শাসকদের থেকে সরকার যে রিপোর্ট পাচ্ছে, তাতেও বোঝা যাচ্ছে এখনই লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত নয়। মোদী জানান, আগামী শনিবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি আবার কথা বলবেন। সরকারের মধ্যেও উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আলোচনা হবে। তার পর সরকার জানাবে যে আগামী দিনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারের একটি অংশের ধারণা আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করা হবে। তার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন পরিস্থিতি আরও বিশদে ব্যাখ্যা করার চেষ্টাও করেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকেই বুঝতে হবে এটা একটা জাতীয় জরুরি অবস্থা। তাই কখনও কখনও কঠোর ও অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের কর্মসংস্কৃতিতেও আনতে হবে। তাঁর কথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের পৃথিবী এবং তার পরের পৃথিবী যেমন এক নয় তেমনই করোনা পূর্ববর্তী অবস্থা এবং করোনা-উত্তর পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ফারাক থাকবে। দুনিয়া অনেকটাই বদলে যাবে। অনেকটা বদলে যাবে মানুষের কাজের পদ্ধতিও।
Be the first to comment