করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউনের (Lockdown) সময়সীমা বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন সময়ে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলেও যাতে অর্থনীতি ও বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে ভবিষ্যৎ-রূপরেখা স্থির করতে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজ বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন বণিকসভা, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প এবং হোটেল, পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে লকডাউনের মধ্যেও সাধারণ মানুষ যাতে জরুরি পরিষেবা থেকে কোনও ভাবে বঞ্চিত না হন, তা খতিয়ে দেখতে নিজে রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবসায় ছাড় পেয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহেই ফুলবাজার ও বিড়িশ্রমিকদের কাজে সম্মতি দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতির মোকাবিলায় বুধবারই তিনটি টাস্ট ফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রেস্ট্রিকশন অ্যান্ড রিলাক্সেশন টাস্ক ফোর্স, সংস্কার ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য অর্থসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বেও একটি এনফোর্সমেন্ট টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন চলায় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত যাঁদের দৈনিক ভিত্তিতে আয় হয়। তাঁর উপলব্ধি, ‘অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। লকডাউন হলেও মনে রাখতে হবে আমরা যেন মানবিক ভাবেও দেখি। সাধারণ মানুষকে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। কোনও অশান্তি না হয়। মানুষকেও নিয়ম যেমন মানতে হবে। তেমনই কড়াকড়ি করব, তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১।
Be the first to comment