রাজ্যে এখনই স্কুল খোলার সম্ভাবনা নেই: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ ফলে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে৷ এই পরিস্থিতে এখনই স্কুল খোলার সম্ভবনা নেই৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য সভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে তিনি বলেন, এখনই স্কুল খোলার সম্ভবনা নেই৷ তবে মে মাসের শুরুতে স্কুলগুলিতে পৌঁছে যাবে মিড ডে মিল৷ লকডাউন মানে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি৷ কিন্তু এই পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে৷

এছাড়া যারা অর্ধেক দামে রেশন কেনেন তাদের জন্য ৩ মাস বিনামূল্যে রেশনের ভাবনা সরকারের৷ অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। একইসঙ্গে দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ঘোরতর সংকটের মধ্যেও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফি বৃদ্ধি নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিকে সতর্ক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ গোটা বিশ্বে দারুণ সংকট তৈরি করেছে মারণ ভাইরাস করোনা।

ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে কোভিড-19-এর সংক্রমণ। করোনার থাবা বাংলাতেও। এই পরিস্থিতিতেও কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়েচেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একটি ভিডিও বার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা দফতরে ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রত্যেকটি স্কুলকে পরিস্থিতি বিচার করে ফি বৃদ্ধি না করতে আবেদন করছি।’ একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে কোনও রকম সাহায্য করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর।

বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন, ‘সংকটজনক এই পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলা উচিত। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেকেই বর্তমান ফি দেওয়ার মতো অবস্থাতেও নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত স্কুলগুলি। যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই ফি কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার একাধিক স্কুল।

বেশ কয়েকটি নামী বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ ৫০ শতাংশ ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী এপ্রিল থেকে জুনের স্কুল ফি ৩০ জুনের মধ্যেও দিলেও কোনও জরিমানা হবে না বলে জানিয়েছে একাধিক স্কুল। এই পরিস্থিতিতে অন্য কেয়কটি স্কুলের ফি বাড়ানোর বিষয়টি রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলগুলির অভিভাবকদের মধ্যে স্বভাবতই ব্যাপক ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*