ওডিশার পর ৩০ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন বাড়াল পঞ্জাব

Spread the love

ওডিশার পথে হাঁটল কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবও। সেখানেও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিল ক্যাবিনেট। প্রথম রাজ্য হিসেবে ওডিশার পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে পঞ্জাবও লকডাউনের সময়সীমা বাড়াল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যাতে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। একই পথে হাঁটল পঞ্জাবও।

পঞ্জাবে ইতোমধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২৭ জন এমন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যাঁদের বিদেশ যাওয়ার বা আগত কারও সংস্পর্শে আসার রেকর্ড নেই। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি যাতে আরও না খারাপ হয়, সেই কারণেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল পঞ্জাব।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বুধবারই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে আরও কিছু দিন লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে। তবে তার মধ্যেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সামাজিক দূরত্ব রেখেই বিভিন্ন পর্যায়ে কী ভাবে লকডাউন তোলা হতে পারে, তার খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। এই খসড়া নীতি আয়োগ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনসাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে বলে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ওই খসড়া অনুযায়ী গোটা দেশকে চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। গত সাত দিনে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং জনঘনত্ব অনুযায়ী সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা কোথায় সবথেকে বেশি— এই তিনের মাপকাঠিতে রাজ্যগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এখনই লকডাউন উঠে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে সর্বদল বৈঠকেও সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে লকডাউন বাড়লেও এবার কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা এখনই খোলা হবে না বলে সূত্রের খবর।

লকডাউনের ফলে অর্থনীতিতে বিশাল ধাক্কা লাগতে চলেছে বলে বৃহস্পতিবারই সতর্ক করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। করোনাভাইরাসের ফলে যে ক্ষেত্রগুলি সবচেয়ে ক্ষতির মুখে, তার মধ্যে অন্যতম অসামরিক বিমান পরিবহণ। মাঝের সিট খালি রেখে কোনও কোনও রুটে বিমান চলাচল শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*