করোনা ভাইরাসের জেরে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা যেভাবে গ্রাস করছে তাতে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির পক্ষে কর্মীদের রেখে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সামনের সপ্তাহগুলিতে মার্কিন সংস্থাগুলি তাদের ভারতীয় কর্মী যারা এইচ ওয়ান বি ভিসাহোল্ডার ছাঁটাই করতে পারে। মার্চ মাস থেকে মার্কিন মুলুকে বেকারত্ব বেড়েছে ৩০০০ শতাংশ। যার জন্য ৬.৬ মিলিয়ন নিজেদের বেকার বলে দাবি করে বেকারত্বের সুবিধা নিতে চাইছে। আমেরিকার শ্রম এবং সংখ্যাতত্ত্ব দপ্তরের তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে।
এবার একবার বেকার হয়ে গেলে সেই কর্মী আর কোন স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা পাবে না। এইচ ওয়ান বি ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে যেসব কর্মীরা সেখানে রয়েছেন তাদের চাকরি চলে যাবার পর ৬০ সাত দিন সময় দেওয়া হবে, তার মধ্যে হয় নতুন চাকরি খুঁজে নিতে হবে অথবা দেশ ছাড়তে হবে। ইউএস তে মার্কিন নাগরিকদের অস্থায়ীভাবে সবেতন ছুটি দেওয়া হচ্ছে অথবা কম সময় কাজ করতে বলা হচ্ছে। সেখানে ভারতীয় এইচ ওয়ান বি কর্মীদের সপ্তাহের ৪০ ঘন্টা কাজ করতে বলা হচ্ছে সম বেতনে।
ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি এই এইচ ওয়ান বি ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় রয়েছে। যাতে বিদেশ থেকে আসা বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন নন ইমিগ্রান্টদের কাজের অনুমতি দেওয়া হয় মার্কিন সংস্থাতে । আমাজন, গুগল, মাইক্রোসফট মতো একেবারে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দক্ষ কর্মী নিয়োগ করে এই এইচ ওয়ান বি প্রোগ্রাম মারফত। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি অনুসারে, ক্রমশ বেকারত্ব বাড়ছে এই দেশে, ২০১৫ সালে যেখানে ছিল ৬ শতাংশ সেখানে ২০১৯ সালে হয়েছে ২১ শতাংশ।
এবার ট্রাম্প প্রশাসন এইচ ওয়ান বি ভিসা প্রকল্প এই বছর তুলে দিতে পারেন। এই এইচ ওয়ান বি কর্মীদের ছাঁটাই করা হলেও একটা বড় সমস্যা হবে ইমিগ্রেশন নিয়ে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকে বিরাট সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন এইচ ওয়ান বি ভিসা হোল্ডাররা।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যেভাবে দুনিয়াজুড়ে ব্যবসা মার খাচ্ছে তার জেরে ভবিষ্যতে সেখানে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতীয় পেশাদারদের। আর সেই কারণেই ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই তারা দাবি করেছেন চাকরি না থাকলেও সে দেশে থাকার অনুমতি ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার জন্য।
Be the first to comment