বাংলার বহু জায়গায় লকডাউনের শর্ত কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে না বলে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুধু তা নয়, কেন্দ্রের পরামর্শের পর রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে সে ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল নবান্ন। যাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের (২০০৫) শর্ত লঙ্ঘণ করলে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন সমস্ত কর্তাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি ও রাজ্যের এই পদক্ষেপের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রের ধাক্কাতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তবে এটাও দেখার, নবান্নর এই বিজ্ঞপ্তি পুলিশ কর্তারা কতটা কঠোরভাবে মেনে চলছেন। কারণ, বিরোধী শিবিরের অনেক নেতার বক্তব্য, খাতায়কলমে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও সরকার পুলিশকে কতটা সক্রিয় হতে বলবে তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার কিছু অনাবশ্যকীয় পরিষেবায় অনুমতি দিয়েছে। তার ফলে কলকাতার রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, তপসিয়া, গার্ডেনরিচ, ইকবালপুর, মানিকতলা এলাকায় দেখা যাচ্ছে বাজারে ভিড় উপচে পড়ছে। মাছ, মাংস, সবজির দোকানের সামনে ঠেলাঠেলি। সোশাল ডিস্টেন্সিংয়ের শর্ত সেখানে মানা হচ্ছে না।
তাছাড়া কোথাও কোথাও ধর্মীয় সমাবেশ হচ্ছে বলেও নিরাপত্তা এজেন্সি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের প্রসঙ্গ টেনে লকডাউনের শর্ত কঠোর ভাবে পালনের পরামর্শ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল ওই চিঠি পাওয়ার পর রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে ব্যাপারে তাদের রিপোর্টও যেন পাঠানো হয়।
Be the first to comment