তথ্যচিত্রে কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি

কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তীর শৈশব জীবন অতিবাহিত হয়েছে সবুজ পাতার ছায়ায় ঘেরা, পাখি ডাকা পল্লী প্রকৃতির বুকে। বেড়ে উঠেছেন হাওড়া জেলার বৃহৎ একান্নবর্তী সাংস্কৃতিক ভাবাপন্ন পরিবারে। ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগ-এ চাকরির সুবাদে তিনি ঘুরেছেন বাংলার বিভিন্ন জেলায়। অর্জন করেছেন বিচিত্র অভিজ্ঞতা। সেই দেখা এবং অভিজ্ঞতার ঝুলি তিনি উজাড় করে দিয়েছেন তাঁর সাহিত্যের পরতে পরতে। এই অনন্য ছন্দশিল্পী লেখনীর মধ্যে দিয়ে ফুটিয়েছেন নানা রঙের ফুল।

ছোটোদের জন্য বিভিন্ন স্বাদের ছড়া লিখে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক ইত্যাদি। প্রথম মুদ্রিত কবিতা আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আনন্দমেলা’য়। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত কবিতাটির নাম ছিল ‘ছোট্ট রবি’। ছয়টি দশক ধরে তিনি পাঁচশোর বেশি পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন। সম্পাদনা করছেন ‘ছোটর দাবি’ পত্রিকা। পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে তাঁর ‘হাঁড়ির খবর’, ‘কোন ছড়াটা পড়ি’, ‘ছড়ায় মোড়া খুশির জোকস’, ‘দেখা হলে ব’লো তাকে’, ‘লাফিং ক্লাব’, ‘নতুন মামার চিঠি’, ‘আলোর পাখি’, ‘আবৃত্তির আকাশ’ প্রভৃতি বইগুলো। পেয়েছেন অসংখ্য সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা। অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সাহিত্য অনুষ্ঠানে।

কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘের তথ্যচিত্র। ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে তাঁর সাহিত্য জীবনের দিকটিও। বহু অনালোকিত ব্যক্তিগত কথা উচ্চারণের পাশাপাশি তিনি পাঠ করেছেন নিজের লেখা বেশ কয়েকটি ছড়া-কবিতা। তথ্যচিত্র ‘কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী’ পরিচালনা করেছেন অংশুমান চক্রবর্তী। চিত্রগ্রহণ তাঁরই। ছোটর দাবি নিবেদিত পঞ্চাশ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি সম্পাদনা করেছেন সৌম্যজ্যোতি লাহিড়ী। বাংলা নতুন বছরে এই তথ্যচিত্রটি হতে চলেছে দর্শকদের অন্যতম প্রাপ্তি।

কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তীর জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৪৪। হাওড়া শহরে। বাবা শশধর চক্রবর্তী, মা রাধারানী দেবী।
পৈত্রিক বাড়ি : হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের মহাকালহাটী গ্রাম। বর্তমানে হাওড়া রামরাজাতলা হাটপুকুরের স্থায়ী বাসিন্দা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিএ, বিটি। পেশা : প্রথম জীবনে হাইস্কুলে শিক্ষকতা। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগ-এর সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক।

প্রথম মুদ্রিত লেখা : আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আনন্দমেলা’য় ‘ছোট্ট রবি’ প্রকাশিত। ১৯৫৭ সালে।
সম্পাদিত পত্রিকা : ছোটর দাবি (১৯৯০ থেকে)।
লিখেছেন : আনন্দবাজার পত্রিকা, দৈনিক বসুমতী, শুকতারা, পক্ষিরাজ, বর্তমান, সত্যযুগ, ভারতকথা, ওভারল্যান্ড, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, তথ্যকেন্দ্র, শারদাঞ্জলি, খেলা, সুস্বাস্থ্য, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, টগবগ, ক্রান্তিক, আলোর ফুলকি, ত্রিপুরা দর্পণ, ফড়িংরাজা, ডেইলি দেশের কথা, অবগাহন, অভিনব অগ্রণী, ছোটর দাবি, আলো, রঙবেরঙ, টুকলু, প্রগামী বাংলা, ছড়াপত্র সুসাথী, সঞ্চিতা, তিতলি, শতদ্রু, কিশোর দুনিয়া, ছোটদের কচিপাতা, ফজলি, হাওড়া বার্তা, ইসক্রা, প্রোরেনাটা, আপনজন, ডিংডংপিংপং, আজকের পল্লীকথা, মিষ্টিকথা, বাণী, মণিমুক্তা, অভিজ্ঞান, যুগের খবর, রুদ্রকাল, মেটেফুল, কাকলীকথা, সুকান্ত, বিচার, ছোট্ট জলছবি, এ যুগের রুদ্রাক্ষ, শৈশব সব বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।

উল্লেখযোগ্য বই : হাঁড়ির খবর, কোন ছড়াটা পড়ি, ছড়ায় মোড়া খুশির জোকস, দেখা হলে ব’লো তাকে, লাফিং ক্লাব, নতুন মামার চিঠি, আবৃত্তির আকাশ।

কবি অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সাহিত্য অনুষ্ঠানে। উদ্বোধন করেছেন বহু উৎসব অনুষ্ঠানের। পেয়েছেন অসংখ্য সাহিত্য পুরস্কার ও সংবর্ধনা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*