বুধবার সকালে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে তামাকজাত যে কোনও দ্রব্য অর্থাৎ বিড়ি, সিগারেট জাতীয় বস্তু, মদ ও গুটখার বিক্রি চলবে না। কোনও দোকানে এই জিনিসগুলি বিক্রি হতে দেখলে, বিক্রেতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের সম্মুখীন হতে হবে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ অনুয়ায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রকাশ্যে কোনওভাবেই থুথু ফেলা যাবে না। এই ধরণের কাজে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে, ছড়াতে পারে রোগ। তাই প্রকাশ্যে থুথু ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে নিয়ম জারি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলছে শ্বাসবাহিত রোগের মাধ্যমেই মূলত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
কোনও ব্যক্তি যখন কথা বলছে, হাঁচছেন বা কাশছেন, তখনই সামনের লোকের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, কোনও ব্যক্তি সংক্রামিত হয়েছেন বা হননি, তা জানার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। এজন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই নতুন করে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯ দিন ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে গোটা দেশ। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বেশ কিছু নতুন নিয়ম ঘোষণা করল।
বুধবার একগুচ্ছ নতুন নিয়ম জারি করা বলে জানিয়ে ছিলেন মোদি। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যেসব নতুন নিয়ম চালু করা হবে, তা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এগুলি তৈরি করার সময় মাথায় রাখা হয়েছে দরিদ্র ও দিনমজুরদের কথা। যারা দিন আনি দিন খাই সম্প্রদায়ভুক্ত, তাদের স্বার্থের কথা চিন্তাভাবনা করেই নতুন নিয়ম জারি হবে। এছাড়াও এই মুহুর্তে সরকারের চিন্তায় বিষয় নতুন শষ্য ওঠার বিষয়টি। মাঠে এখন রবি শষ্য উৎপাদনের কাজ চলছে। সেই কাজে যাতে বাধা না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখছে কেন্দ্র।
এদিন নিজের ভাষণে মোদি বলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের দিকটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সমস্যায় রয়েছে দিনমজুররাও। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাদের রোজগারও বন্ধ হয়ে রয়েছে। তবে কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করে চলেছে। বুধবার নতুন নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে তা বলবৎ করা হয়েছে।
Be the first to comment