কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যে আংশিক ভাবে সরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার৷ আগামী ২০ এপ্রিল থেকে অফিসে আসতে পারবেন সরকারি আধিকারিকরা৷ তবে একসঙ্গে সবাই নয়। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,চসরকারি অফিস খোলার ক্ষেত্রে ডেপুটি সেক্রেটারি ও পরবর্তী উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের আপাতত হাজিরা দিতে হবে। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে অফিসে আসতে পারবেন তাঁরা। তবে প্রতিদিন নয়,পালা করে একদিন অন্তর অফিস করবেন।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বাধিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত অফিসে হাজিরার অনুমতি দিয়েছে। যদিও লকডাউনের মধ্যে আগেই রাজ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে মিষ্টির দোকান,ফুল বাজার ও চা বাগান৷ এবার খুলছে জুটমিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা৷ লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুটমিলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুত শ্রমিকরা৷
আপাতত রাজ্যে সব জুটমিলগুলিই চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ শতাংশ শ্রমিকদের দিয়ে লকডাউন চলাকালীন জুটমিলে শুরু হবে উৎপাদন। সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ পাবেন জুটমিলের সব শ্রমিকরা। লকডাউন চললেও চটের বস্তার প্যাকেজিংয়ের ঘাটতির কারণে ২৫ শতাংশ শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের ১৮টি জুটমিল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।
যদিও রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র ১৮টি জুটমিলই নয়। জুটমিল খুললে সব জুটমিল একসঙ্গে খুলবে। তা না হলে শ্রমিকদের একাংশের প্রতি অবিচার করা হবে। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সব কটি কারখানায় খুব কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ।
জুটমিলে যে শ্রমিকরা যেদিন কাজে যাবেন, সেদিন যেন তাঁরা সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে । অন্যদিকে,১ মে থেকে ‘অন্নদাত্রী’ অ্যাপের মাধ্যমে ধান কিনবে রাজ্য সরকার।
এর পাশাপাশি বিশেষ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেও চাষির কাছে গিয়ে ধান কেনা হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিডিও অফিসের মাধ্যমে ওই ধান কেনা হবে। বিডিও অফিসের এক আধিকারিক চেক সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। ধান কেনার পর চেকের মাধ্যমে দাম মিটিয়ে দেওয়া হবে।
Be the first to comment