রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আর কারও নতুন করে মৃত্যু হয়নি বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের সংক্রমণ বেড়েছে। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৪ জন। এই নিয়ে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা রাজ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২। শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যসচিব।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, এ পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে ৪ হাজার ২১৪টি। সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩ হাজার ৮৩৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৬ হাজার ৭১ জন। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আপডেট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ২৪ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৫। সেরে উঠেছেন ৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আপডেট অনুযায়ী রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ সংখ্যা হওয়ার কথা ১৯৪ জন। কিন্তু আজ বিকেলে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানালেন বাংলায় করোনা অ্যাকটিভ ১৬২ জন। যা রাজ্যের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রের তথ্যের মধ্যে ফারাক অনেকটাই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন, যেখানে যেখানে বেশি সংক্রমণ, সেই জায়গাগুলোয় বেশি নজর দিতে হবে। তাঁর কথায়, “সংক্রমণের বাড়াবাড়ি দুটো এলাকায় সীমাবদ্ধ। দুটো জায়গা থেকেই বেশি কেস আসছে, হাওড়া ও উত্তর কলকাতা। এই দুটো এলাকায় খড়া হাতে লকডাউন করতে হবে। দরকার হলে পুলিশ খাবার পাঠিয়ে দেবে বাড়িতে বাড়িতে। তবে মেলামেশা বন্ধ করতেই হবে। হাওড়া ও কলকাতা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে হবে।”
উত্তর ২৪ পরগনার কথা আলাদা করে উল্লেখ করে, বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “ডেঙ্গুও শুরু হয় উত্তর ২৪ পরগনাতেই। করোনাতেও এটি রেড জোন হয়ে গেছে। আরও আগ্রাসী ভাবে কাজ করতে হবে সকলকে, প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। ১৪ দিনের মধ্যে একে গ্রিন জোনে আনতে হবে।” একই কথা মেদিনীপুর সম্পর্কেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলির জেলাশাসককেও ওই জেলা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নিয়েও।
Be the first to comment