এ যেন রক্তের কাছে হার মানল রাজনীতি। রাজ্য সরকারের কট্টর সমালোচক সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর উদ্যোগে করা ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের পাশে থাকতে হাজির হলেন রাজ্য সরকারেরই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী। করোনার আবহে রাজনৈতিক বিরোধিতা ভুলে দুই যুযুধান শিবিরের নেতাদের এইভাবে জোটবদ্ধ ছবির প্রশংসা হচ্ছে নানাস্তরে। এমনকী ওই রক্তদান শিবির আয়োজন করতে নির্দিষ্ট গাড়িও দিয়েছে রাজ্য সরকার।
একে করোনায় রক্ষে নেই, দোসর রক্তের আকাল। গ্রীষ্মে এমনিতেই রাজ্যজুড়ে রক্তের আকাল দেখা দেয়, তার মধ্যে শুরু হয়েছে করোনার প্রকোপ। রক্তের অভাবে বিশেষত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে পুলিশকে রক্তদান শিবির করে রক্ত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো চলছে রক্তদান শিবিরও। কিন্তু তা ঘাটতি মেটাতে যথার্থ নয়। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে চেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু প্রাথমিক স্তরে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কারণে সেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে অনুমতি দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
সূত্রের খবর, এরপরই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যোগাযোগ করেন সুজন বাবুর সঙ্গে। বলেন, রাজ্য সরকারের গাড়ি রয়েছে ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবির করার। সেই গাড়িতেই বরং রক্তদান শিবির করা হোক।
প্রস্তাব ফিরিয়ে দেননি সুজন চক্রবর্তী। সেই অনুযায়ী, শুক্রবার কলকাতার নেতাজি নগরে ওই ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। মোট ৩০ জনের রক্ত নেওয়ার সুযোগ ছিল।
সুজনবাবুর নির্দেশে ৩০ জনেরই রক্ত নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের পাশে থাকতে পৌঁছে যান চন্দ্রিমা দেবীও, যান রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। ছোট-ছোট অংশে এইভাবে আরও রক্তদান শিবির আয়োজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment