শুক্রবার প্রশাসনের তরফ থেকে হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পর থেকেই হাওড়া সিটি পুলিশ লকডাউন সফল করতে তৎপর হয়। শনিবার সকাল থেকেই লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। চলে ধরপাকড়। লকডাউন ভঙ্গকারী বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিন সকাল থেকেই পুলিশ হাওড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় নজরদারি শুরু করে। একদিকে র্যাফ, অন্যদিকে হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে টহলদারি চালান। সালকিয়া চৌরাস্তা, মালিপাঁচঘড়া থানা, গোলাবাড়ি থানার বিভিন্ন এলাকা, মল্লিক ফটক, কদমতলা বাজার, কালিবাবুর বাজার, শিবপুর বাজার প্রভৃতি এলাকায় ছিল ব্যাপক পুলিশি নজরদারি। বড় রাস্তাগুলির সংযোগকারী রাস্তাগুলি ব্যারিকেড করা হয়।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার কুনাল আগরওয়াল বলেছেন, “দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫ অনুযায়ী লকডাউন ভঙ্গকারী ২১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি আটটি চার চাকা, একটি অটো এবং ৩৭টি দুই চাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে”। উল্লেখ্য, হাওড়ার বাজারে ভীড় ঠেকাতে এদিন সকাল থেকেই সক্রিয় হয় পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে হাওড়াকে করোনা সংক্রমণের রেড-স্টার জোন হিসাবে ঘোষণা করেছেন। প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই হাওড়ার মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিল হাওড়া সিটি পুলিশ।
শনিবার সকালে হাওড়ার বাজারে ব্যারিকেড লাগিয়ে বাজারে আসা লোকজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় পুলিশকে। বাজারে ক্রেতাদের ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি যারা মাস্ক না পরেই রাস্তায় বেরিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। বাজারে যাতে একসঙ্গে বেশি ভীড় না হয় সেদিকেও এদিন নজরদারি চালায় হাওড়া সিটি পুলিশ। মাইকিং করা হয় থানার পক্ষ থেকে।
Be the first to comment