কাশ্মীরে জঙ্গি হানা। শহিদ হয়েছেন তিন আধা সামরিক সেনা। সিআরপিএফ-এর ওপর এই হামলা চলে। আরও তিনজন আধাসামরিক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার সোপোরে এই হামলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাসি অভিযান চলছে। পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথ টহলদারি দিচ্ছিল। সেই সময়, চেকপোস্টের কাছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায়।
শুক্রবারই কাশ্মীরের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি ফিরেছেন সেনা প্রধান নারভানে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা প্ররোচণায় হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন সেনাপ্রধান। কাশ্মীর উপত্যকায় ক্রমাগত অশান্তি ছড়াতে চাইছে পাকিস্তান। করোনা নিয়ে চিন্তা না করে কীকরে সীমান্ত অশান্ত করা যায়, সেইদিকেই নজর রাখছে পাকিস্তান বলে মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেনা প্রধান বলেছিলেন মারণ করোনা ভাইরাস থেকে কী করে মুক্তি পাওয়া যায়, সেদিকে নজর সবার। কিন্তু পাকিস্তান এমন এক দেশ, যার শুধু নজর সন্ত্রাসবাদের দিকে।
ভারত বিভিন্ন দেশে ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জান রফতানি করছে, আর পাকিস্তান রফতানি করছে সন্ত্রাসবাদ। শুক্রবার সাতসকালে কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার দারিও কীগান গ্রামে শুরু হয় এনকাউন্টার। বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১ জঙ্গির।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সিআরপিএফ ও আর্মির দুটি দল যৌথ ভাবে সার্চিং অপারেশন শুরু করে। জঙ্গিদের আস্তানার কাছে পৌঁছাতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। খবর অনুযায়ী, বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে নিকেশ হয় এক জঙ্গি।
রিপোর্ট বলছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সর্বাধিক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ১১৪৪টি হামলা হয়েছে। মার্চ মাসেই হয়েছে ৪১১টি হামলা।
Be the first to comment