লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় ভিড় ৷ সেই ভিড় সরাতে গিয়ে এবার হাওড়ায় আক্রান্ত পুলিশ ৷ এলাকায় নামানো হয়েছে র্যাফ ৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে হটস্পট এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে রাস্তায় নামে পুলিশ ৷ হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে গিয়ে দেখেন রাস্তায় ভিড় ৷ তাদেরকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বললে, প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে৷ এরপরই পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷
অভিযোগ, পুলিশ সেই সময় মৃদু লাঠিচার্জ করে ৷ এরপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় ৷ পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙ্চুর করা হয় ৷ আক্রান্ত টিকিয়াপাড়া থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় দুই জন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলে খবর ৷
ঘটনার পরই এলাকায় পৌঁছেছে দু’টি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ নামানো হয়েছে র্যাফ ৷ এই ঘটনার সঙ্গে কে কে জড়িত, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,পুলিশের উপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ ৷ প্রশাসনকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে ৷ তবে আমি স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলল কেন এমন ঘটনা ঘটল ৷
ইতিমধ্যেই হাওড়ায় কোন কোন পাড়া স্পর্শকাতর, তার তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার ৷ সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার একাধিক জায়গা ৷ এর মধ্যে রয়েছে, ২৭ নম্বর উলুবেড়িয়া পুরসভার আরপিএফ ব্যারাক, বাগনান-২-র ভিলেজ সাহারা, বালি জগাছার সিআর দাস সরণী, ঘোষ পাড়া, দক্ষিণ চাকপাড়া , ঝাউতলা, ডোমজুড়ের বাল্টিকুড়ি ইএসআই হাউজিং কমপ্লেক্স এবং ওয়াদিপুর।
এ ছাড়াও রয়েছে জগৎবল্লভপুররে একবরপুর, লস্করপুর, সাঁকরাইলের উত্তর ধূলাগড় মল্লিকপাড়া, পঞ্চপাড়া, ভিলেজ নলপুর এবং ভিলেজ জয়নগর।
এছাড়া হাওড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড- ব্যানার্জি বাগান লেন এবং ফকির পাঠক লেন৷ ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এর কালুপাড়া লেন এবং শ্রী অরবিন্দ রোড৷
৬ নম্বর ওয়ার্ড- উত্তম ঘোষ লেন, গোপাল ঘোষ লেন, কৈবর্ত পাড়া লেন৷ ১০ নম্বর ওয়ার্ড- ভৈরব দত্ত লেন, নন্দী বাগান লেন৷ ১২ নম্বর ওয়ার্ড- অতুল ঘোষ লেন, উপেন্দ্র মিত্র লেন, শ্যামাচরণ চৌধুরী লেন, বেলেলিয়াস রোড রয়েছে অতি সংবেদনশীল তালিকায়।
১৫ নম্বর ওয়ার্ড- সনাতন মিস্ত্রি লেন৷ ১৯ নম্বর ওয়ার্ড- ১২ নম্বর জোলাপাড়া মসজিদ লেন, মধুসূদন বিশ্বাস লেন, সাতকড়ি চ্যাটার্জি লেন, রামেশ্বর মালিয়া লেন, বসরুদ্দিন মুন্সি লেন৷ ২০ নম্বর ওয়ার্ড- ৬৬ নম্বর জোলাপাড়া মসজিদ লেন, গঙ্গারাম বৈরঙ্গী লেনও।
২৭ নম্বর ওয়ার্ড- রাজবল্লভ সাহা লেন, মহেন্দ্রনাথ রায় লেন, কালিবাবু বাজার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৈলাস বোস লেন, বরোদাচরণ কেদার ভট্টাচার্য লেন, গোপাল ব্যানার্জি লেন৷ ২৯ নম্বর ওয়ার্ড- চিন্তামণি দে রোড, হাট লেন-মল্লিক ফটক ও মল্লিক ফটক এই তালিকায় রয়েছে।
৩০ নম্বর ওয়ার্ড- জিসিআরসি ঘাট রোড, কাউয়িস ঘাট রোড, বনবিহারি বোস রোড অতিসংবেদনশীল। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড- অবিনাশ ব্যানার্জি লেন৷ ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড- কালিকুমার মুখার্জি লেন৷ ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড- গেঞ্জেস গার্ডেন অ্যাপার্টমেন্ট, শালিমার আরপিএফ ব্যারাক৷ ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড-নারায়ণ হাসপাতাল সংলগ্ন আন্দুল রোড৷
৪০ নম্বর ওয়ার্ড- কাজিপাড়া লেন অতিসংবেদনশীল এলাকার মধ্যে পড়ছে৷
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যারি রোড, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশি মণ্ডল লেন, ঘুসুড়ি, ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের গিরিশ ঘোষ রোড ঘুসুড়ি এবং ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভট্টনগর এই তালিকায় রয়েছে।
Be the first to comment