কথা দিয়েছিলেন। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩টি বাসে বুধবার কোটা থেকে ৩০০০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে রওনা দিল পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩টি বাস পশ্চিমবঙ্গের ৩টি জোনে এসে দাঁড়াবে। জোনগুলি হল- কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল। ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাড়ির যে জোনে, সেই অনুযায়ী বাসে উঠবে। বাসে ওঠার সময় এবং বাস থেকে নামার পর তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
রাজস্থানের কোটা হোক বা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, লকডাউনের জেরে পড়ুয়া থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, এমনকী চিকিৎসা করতে গিয়ে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে সোমবার তিনি ট্যুইটও করেন। লেখেন, ‘আমি যতদিন আছি, বাংলার কেউ নিজেকে অসহায় মনে করবেন না। এই কঠিন সময়ে আমি আপনাদের পাশে আছি।’ সেদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি বলেন, ‘আমরা তো ফেরাতে চাই সবাইকে, সাহায্য করতে হবে তো। সেই সাহায্য কোথায়।’ উল্টে রাজ্যকে না জানিয়েই অনেককে এ রাজ্যের সীমানায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘ঝাড়খণ্ড থেকে ৪৩জনকে এনেছি। কোটা থেকে ছাত্র ছাত্রীদের আনার ব্যাপারে ওদের বলেছি পাঠিয়ে দিতে।১৭০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসবে । তিন রাত্রি সময় নেবে। আমরা বলেছি পাঠিয়ে দিন। ভাড়া দিয়ে দেব। এব্যাপারে কেন্দ্রকে নীতি গ্রহণ করতে হবে । যারা আসবে তাদের পরীক্ষা করে স্ক্রিনিং করে আনতে হবে।’ সেই কথা তিনি রাখলেন। পড়ুয়াদের পরিবারের দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছেলেমেয়েরা যারা কোটাতে রয়েছে, তারা ঘরে ফিরবে। এমন ৩০০০ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। ওখান থেকে তিন দিন সময় লাগবে এখানে আসতে। পিবি সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কো অর্ডিনেট করতে।’
Be the first to comment