হাসনাবাদের মাকালতলায় ত্রাণ বিলি নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ। চললো গুলি, বোমা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক দোকান ও বাড়িতে। ঘটনায় এক মহিলা সহ ১০ জন জখম হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় RAF নামানো হয়েছে।
লকডাউনের জেরে অনেকেরই কাজ নেই। অনেকেই অর্ধাহারে বা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সমস্যায় পড়েছেন হাসনাবাদের মাকালতলার বাসিন্দারাও। এই পরিস্থিতিতে আজ মাকালতলা পঞ্চায়েতের সর্দারপাড়া ও পাটকেলতলা গ্রামে তৃণমূলের তরফে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের একাংশের তরফে জানা গেছে, এই ত্রাণ বিলির মাঝেই পাটকেলতলা গ্রামের ত্রাণ শিবিরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সর্দারপাড়ার বাসিন্দারা।
অভিযোগ, ত্রাণ পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রথমে এনিয়ে বচসা শুরু হয়। দুপুর গড়াতেই পাটকেলতলায় বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছয় হাসনাবাদ থানার পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে RAF নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। ঘটনায় কয়েকজন জখম হয়েছেন। আজিজুল গাজি নামে এক গ্রামবাসীর মাথায় গুলি লেগেছে বলে খবর। সইফুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির দোকান পুড়ে গেছে। তাঁর দাবি, দোকানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার জিনিস ছিল। সব পুড়ে গেছে।
তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজির অভিযোগ, CPI(M) পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের ত্রাণ বণ্টন কর্মসূচি বানচাল করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালিয়েছে। বোমা-গুলি চলেছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে CPI(M)। এবিষয়ে স্থানীয় CPI(M) বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। আজকের ঘটনা সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল।”
Be the first to comment