করোনার থাবা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে। একধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১২২। মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এই শতাধিক জওয়ান।
দিল্লির ময়ূর বিহারে সিআরপিএফের ৩১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ১২২ জওয়ান কোভিড- ১৯ এর শিকার। আরও ১০০ জন জওয়ানের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা টেস্টের জন্যে পাঠানো হয়েছে, এখনও রেজাল্ট আসেনি। গত ২৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে ৫৫ বছর বয়সী একজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
একই ব্যাটেলিয়নের আরও ৪৫ জন সেনা গত সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিত হন, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ১২২-এ পৌঁছে গিয়েছে। সতর্কতা হিসাবে, ওই ব্যাটেলিয়নের সমস্ত জওয়ানকেই কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
২৮ এপ্রিল, দিল্লিতে কর্তব্যরত সিআরপিএফের ৫৫ বছর বয়সী এক সাব-ইন্সপেক্টর সফদরজং হাসপাতালে মারা যান। অসমের বাসিন্দা এই জওয়ান যদিও ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাতেও ভুগছিলেন। শুধু ওই জওয়ানই নন, ৩১ ব্যাটেলিয়নের বাকি জওয়ানদের শরীরেও ওই মারণ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। জানা যায় ওই জওয়ানরা এর আগে কূপওয়ারাতে বহাল থাকা ১৬২ ব্যাটিলিয়নের করোনা আক্রান্ত কিছু প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের সংস্পর্শে আসেন। সেখান থেকেই ছড়ায় সংক্রমণ।
ওই সময় এক মেডিকেল কর্মী ছুটিতে নয়ডায় তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। হঠাৎ লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরে, ছুটিতে থাকা জওয়ানরা যেখানে ছিলেন সেখানেই তাঁকে থাকার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মেডিকেল কর্মীকে বলা হয় যে, যদি সম্ভব হয় তবে বাড়ির আশেপাশে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের সাহায্যে কাজ করুন। যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকঠাক রাখা যায়।
নয়ডার বাসিন্দা ওই প্যারামেডিক্যাল কর্মী ৭ এপ্রিল ময়ূর বিহারের ৩১ ব্যাটালিয়নে যোগ দেন। সেই সময়ের প্রোটোকল অনুসারে, তাঁর পৃথক থাকার ব্যবস্থা করা হলেও সেই সময় তাঁর মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল, হঠাৎ করেই ওই কর্মীর শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে এবং তারপরে তাঁর শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই জওয়ানরা সংক্রামিত হন।
Be the first to comment