দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। মদের দোকান কি খোলা হচ্ছে, নাকি কেন্দ্র অন্য কথা বলেছে। শনিবার সেই টানাপোড়েনের অবসান করে ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল কোন কোন ক্ষেত্রে মদের দোকান খোলার ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল ই কমার্স সংস্থাগুলির পণ্য সরবরাহ করার এক্তিয়ার নিয়ে। কোন কোন এলাকায় যেতে পারবে সংস্থাগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল শুক্রবার থেকেই। শনিবার সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিল কেন্দ্র।
১৭ মে পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল লকডাউনের। তৃতীয় দফার এই লকডাউনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে প্রথম দুই দফার তুলনায় কিছুটা শিথিলতা রয়েছে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে। জোন ভিত্তিক কিছু বিধিনিষেধ ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশজুড়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে মদের দোকান খোলা থাকতে পারে। সরকার জানিয়ে দিয়েছে রেড জোনে কোনও মদের দোকান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও প্রচুর বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেখানে। সংক্রমানিত এলাকায় দোকান খোলা যাবে না। খোলা যাবে স্ট্যান্ডঅ্যালোন শপ। অর্থাৎ কোনও শপিং কম্পপ্লেক্স বা শপিং মলে মদের দোকান খোলা রাখা যাবে না। তবে সেই সঙ্গে কেন্দ্র এও জানিয়েছে যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন চাইলে মদের দোকান বন্ধ রাখতে পারে।
তেমনই রেড জোনে বিভিন্ন ই কমার্স সংস্থা শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। তার বাইরে কোনও পণ্য নিয়ে ঢোকার অনুমতি নেই। তবে অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য দ্রব্য সরবরাহ করা যাবে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে। যদিও নো কন্ট্যাক্ট ডেলিভারির কথা উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। গৃহকর্মের সহায়িকাদের কাজে ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের দাবি এই বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার জানানো হয়েছে ট্রেন, মেট্রো, বিমান ও আন্তঃরাজ্য সড়ক যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় কাজে চলবে দু চাকার গাড়ি। তবে তাতে চালক ছাড়া আর কোনও আরোহী থাকতে পারবেন না। স্কুল কলেজ, নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্তোঁরা, সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে শপিং মল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ রাখতে হবে। যে কোনও সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-জমায়েত করা চলবে না। বন্ধ রাখতে হবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জার মতো ধর্মীয় স্থান। এছাড়াও বন্ধ থাকবে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে জিম, সেলুন, পার্লার।
Be the first to comment