লকডাউনের কারণে আটকে পড়া এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে সোমবার আজমের থেকে ছাড়ছে প্রথম ট্রেন, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জানা গিয়েছে, মোট ১২০০ পরিযায়ীকে নিয়ে ছাড়বে ট্রেনটি। রাজস্থানের অন্যতম এই শহর থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি থামবে দুর্গাপুর ও ডানকুনিতে। ৫ মে কলকাতা পৌঁছাবে ট্রেনটি।
সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ এ রাজ্যের পরিযায়ীদের ফেরাতে ট্রেনটির সময়সূচী সম্পর্কে রবিবার বিকেলেই ট্যুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অন্যদিকে সন্ধে ৭.০৮নাগাদ রাজ্যের তথ্য দফতরের তরফেও ট্যুইট করে এ খবর জানানো হয়।
সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইটে লেখেন, শনিবার রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীদের ফেরানো নিয়ে। ৫ মে আসানসোল হয়ে একটি ট্রেন দুর্গাপুর থামবে, পরিযায়ীদের নিয়ে রাজস্থানের আজমের ছাড়বে ট্রেনটি।
ভিন রাজ্য আটকে পড়া থেকে এ রাজ্যের পরিযায়ীদের ফেরাতে বিশেষ ট্রেন ছাড়া নিয়ে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি হিসেবে, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া এ রাজ্যের মানুষদের ফেরাতে ২৫০০ এর বে্শি পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, রোগীদের নিয়ে আজমের ও কেরল থেকে এ রাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবে দুটি ট্রেন। নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা আসবেন সকলকেই স্ক্রিনিং করা হবে”।
লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, সহ অন্যান্যদের ঘরে ফেরাতে শ্রমিক রেল পরিষেবা চালু করে কেন্দ্র, রাজস্থান সরকারের এই উদ্যোগ তারই মধ্যে।
সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে প্রতিটি ট্রেনে থাকবেন ১,০০০ থেকে ১,২০০ যাত্রী। ট্রেনে ওঠার আগে প্রতি়টি যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হবে, শুধুমাত্র যে সমস্ত যাত্রীর শরীরে কোনও সংক্রমণ বা সেরকম লক্ষণ পাওয়া যাবে না, তাঁদেরই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “প্রতিটি যাত্রীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাদের তরফে আরও জানানো হয়, স্টেশনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হবে এবং যাঁদের শরীরে লক্ষণ পাওয়া যাবে, তাঁদের কোয়ারান্টিনে পাঠানো হবে।
Be the first to comment