কোভিডে মৃত্যুর হার ১২.৮%,যা গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি, মুখ্যসচিবকে জানালো কেন্দ্রীয় দল

Spread the love

বাংলায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুলেছে৷ তথ্য গোপনের অভিযোগও উঠেছে৷ এবার করোনার তথ্য দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় দল৷ কলকাতা থেকে ফিরে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবার কলকাতায় পাঠাচ্ছে ‘পাবলিক হেলথ টিম’৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য ছাড়ার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷

কলকাতায় আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র ওই চিঠিতে লিখেছেন, আমরা দেখেছি ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যু এ বার থেকে দৈনন্দিন পরিসংখ্যানে স্থান পাবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্দেশে এটা বড় পদক্ষেপ ঠিকই৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ৮১৬ টি কোভিড পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ১০৫ জন। যার অর্থ পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মৃত্যুর হারই ইঙ্গিত করছে যে বাংলায় টেস্টিং কম হচ্ছে এবং নজরদারিও অতিশয় দুর্বল৷

রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি ঠিক কী রকম, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। মোট দুটি টিম রাজ্যে আসে৷এর মধ্যে একটি টিম কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঘুরে দেখে। অপর টিমটি উত্তরবঙ্গ ঘুরে দেখে৷ সূত্রের খবর, মোট ৮টি টিম তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার মধ্যে দুটি টিম রাজ্যে এসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন তাঁরা।

এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং৷

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যে দিকগুলো খতিয়ে দেখেছে বলে জানা গিয়েছে, তা হল ১. করোনা সংক্রমণ এলাকায় লকডাউন ঠিক মতো মানা হচ্ছে কিনা৷ ২. স্পর্শকাতর এলাকায় করোনা হাসপাতালের সংখ্যা কত, সেখানে কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ ৩. র‍্যাপিড টেষ্ট করা হচ্ছে কিনা, তার সংখ্যা কত ৪. মাইক্রো প্ল‍্যানিংয়ে কোন কোন এলাকা রয়েছে। সেখানে কী ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন ৫. রেশন ব‍্যবস্থার মাধ‍্যমে মানুষ ঠিক মতো খাদ‍্য সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা৷ এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিষয়৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*