মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের পালটা চিঠি। ফের একগুচ্ছ অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে পুলিশ রাজ চলছে। সোশাল মিডিয়ায় কেউ কোনও মতামত দিলেই তার বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে। সেটা রাজনৈতিক কারণেই। এ ছাড়াও চারপাতার চিঠিতে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল।
গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ১৩ পাতার জবাবি চিঠি দেন রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের লেখা কুড়িটি অভিযোগ উদ্ধৃত করে চিঠির জবাব দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, যে ধরনের শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে তা ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকে কোনও নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও রাজ্যপাল দেননি। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, দেশের সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে, রাজ্যপাল এমন চিঠি দিয়েছেন বলে একটি প্রমাণ দেখান। আমি আপনার ওই চিঠি এবং এর আগে চিঠিগুলি পেয়ে রেগে যাইনি। বরং দুঃখ পেয়েছি।
তারই উত্তর দিলেন রাজ্যপাল। চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্যের মানুষ অনেক কষ্টে রয়েছেন। সেটা প্রমাণ করছে রেশন নিয়ে হিংসার ঘটনা। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেছেন, এটা রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা। পাশাপাশি রাজ্যপাল লিখেছেন, “আপনি বিরোধী দলগুলোকে শকুনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একইসঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় কেউ কোন মতামত দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের দরজায় গিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে। এভাবে আপনি রাজনৈতিক মতামতকে আটকে দেবার চেষ্টা করছেন । রাজ্যে পুলিশ রাজ চলছে। একই কাজ করছেন আপনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও।”
রাজ্যপাল লিখেছেন, “আপনার চিঠির 8 নম্বর অনুচ্ছেদে রাজভবনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বলেছেন। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি, এই মুহূর্তে যিনি রাজ্যপাল আছেন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি সংবিধান সব সময় মেনে চলেন।” তার অভিযোগ এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রেশন নিয়ে চূড়ান্তভাবে রাজনীতি হচ্ছে । এই বিষয়টি নিয়ে আমি বারবার বলছি । রেশন নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হোক ।”
বিতর্ক যে এখনই থামবে না তার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল । রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে তাঁর মন্তব্য, “ এখন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখানো পথে হাঁটার সময় এসেছে । চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির ।”
Be the first to comment