সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের আরও এক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত ৷ তিনি এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি। আগে থেকেই ওই স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন৷ আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায়। তিনি সাগরদত্ত হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ করেন। এর আগে সাগরদত্ত হাসপাতালের ২ কর্মী আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ সাফাইকর্মী। এর ফলে ৩৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল।
এই ৩৬জনের মধ্যেই ছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই সাগর দত্ত হাসপাতালে দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ৩৬ জনকে। এঁদের মধ্যে হাসপাতাল সুপার পলাশ দাস-সহ ১৭ জন চিকিৎসকও রয়েছেন। একই সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৩৬ জনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়ার ফলে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালের রেডিওলজি ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ।
এদিকে গত শুক্রবার এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠে কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সকালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপরই তাঁর সঙ্গীরা হাসপাতালে চড়াও হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ড, হাসপাতালের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হয়নি। পরে ব়্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
পুলিশ বাহিনী ঘিরে রাখে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেই সময় মৃতের রিপোর্ট না আসায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
Be the first to comment