স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পর বাংলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম

Spread the love

করোনা আবহে রাজ্যে ফের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় দল৷ এবার দল পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ আগে দল পাঠিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সংক্রমণ রোধে কী কী করা প্রয়োজন সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্য দফতরকে পরামর্শ দেবে দ্বিতীয় দল৷

কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব,অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে তাদের রিপোর্ট দেবেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০টি দল তৈরি করা হয়েছে৷ দেশের ২০টি জেলায় এই দলগুলি যাবে যেখান থেকে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে৷

এই তালিকার ১৫ নম্বরে রয়েছে কলকাতার নাম৷ কলকাতার জন্য নিযুক্ত দলে থাকছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর প্রধান মধুমিতা দুবে এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও দলে থাকবেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, ভাইরোলজিস্টরাও বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রথম দলটি সোমবার রাজ্য ছাড়ার আগে দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্রা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা কড়া চিঠিতে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ সহ করোনা নিয়ে নানান বিষয়ে সরব হন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য ছাড়ার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷

কলকাতায় আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র ওই চিঠিতে লিখেছেন, আমরা দেখেছি ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যু এ বার থেকে দৈনন্দিন পরিসংখ্যানে স্থান পাবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্দেশে এটা বড় পদক্ষেপ ঠিকই৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ৮১৬ টি কোভিড পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছিল।

তার মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ১০৫ জন। যার অর্থ পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মৃত্যুর হারই ইঙ্গিত করছে যে বাংলায় টেস্টিং কম হচ্ছে এবং নজরদারিও অতিশয় দুর্বল৷ এদিকে প্রথম কেন্দ্রীয় দল সোমবার রাজ্য ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওইদিনই দিল্লি থেকে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসায় নতুন করে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে কোনও বিরোধ সৃষ্টি হয় কিনা৷ সেটাই এখন দেখার৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*