গ্যাস দুর্ঘটনা, জরুরি বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

Spread the love

ভাইজাগ ভয়াবহ গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকাল ১১ টায় এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক করলেন মোদী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে দলের কর্মীদের কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। জানা গিয়েছে, কারখানার ২.৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়েছে গ্যাস। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে এনডিএমএ-এর কর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তা নিয়েই এদিন বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের আগেই মোদী জানান, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে পরিস্থিতিতে নজর রাখা হচ্ছে। আমি সকলের সুরক্ষা এবং সুস্থতা কামনা করি”।

সকাল সকাল ভাইজ্যাগের রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ২০০ জন। মৃতদের মধ্যে একজন শিশু আছে। এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ওই প্লান্টের নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের চোখ জ্বালা করছে ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। এরপরেই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থল থেকে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় কমপক্ষে একশো লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে, তারা আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করছে এবং যে কজন অসুস্থকে পারছে তাঁদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে পৌঁছে দিচ্ছে। ওই ভিডিওতে দূরে সাইরেনের শব্দও শোনা যাচ্ছে।

বেশ কিছু লোককে মাস্ক পড়া অবস্থায় অসুস্থ ব্যক্তিদের অ্যামুলেন্সের দিকেও নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ওই অসুস্থদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যতক্ষণ না অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে পারছেন, ততক্ষণ তাদের রাস্তার মাঝের ডিভাইডারেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে।

১৯৬১ সালে হিন্দুস্তান পলিমার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত, এই সংস্থাটি ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম অধিগ্রহণ করে ও নতুন নামকরণ করা হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*