অবশেষে চালু হল হাওড়া জেলা হাসপাতাল। করোনা ভাইরাসের কোপে টানা ২ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর হাসপাতালের পরিষেবা চালু হল। তবে বন্ধ রয়েছে আউটডোর। সেইসঙ্গে সুখবর, করোনাকে হারিয়ে কাজে যোগ দিলেন সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। জেলার প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই এই হাসপাতালের একদল নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
এমনকী হাসপাতালের সুপার এবং আরও এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরেই হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার জন্য সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের পাশাপাশি পুরো হাসপাতাল চত্ত্বর জীবাণুমুক্ত করার পরেই ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে প্রথমে চালু করা হয় ফিভার ক্লিনিক, কয়েকদিন আগেই চালু করা হয়েছিল জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগ। বুধবার থেকে খুলে গিয়েছে মেডিসিন, শিশু ও সার্জারী বিভাগ।
হাসপাতালের আউটডডোর কবে খুলবে? হাসপাতাল সুপারিন্টেডেন্ট ডা. নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু হাসপাতাল কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে, তাই কোনওভাবেই মানুষের ছোটখাটো জমায়েতও করা উচিত নয়। কীভাবে ভিড় এড়িয়ে আউটডোর চালু করা যায়, সেই বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। কোনও রোগী এখন হাসপাতালে এলে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে প্রথমে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ থাকলে তাঁকে আপাতত এখানে ভর্তি না করে সত্যবালা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
সুপার জানিয়েছেন, এখনই হাওড়া জেলা হাসপাতালে করোনার কোনও রোগীর চিকিৎসা করা হবে না। হাসপাতালে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য,সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন হাওড়া জেলা হাসপাতাল সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর পরিবার সহ সংস্পর্শে আসা হোম কোয়ারানটিনে গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রায় ২০০ জন আধিকারিক। তবে এখন পুরোপুরি করোনা মুক্ত জেলা হাসপাতালের এই সুপার। এছাড়াও, হাওড়া জেলা হাসপাতালে সালকিয়ার এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
Be the first to comment