বিশাখাপত্তনমের পর এবার ছত্তীসগড়। একটি কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে ৭ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারখানার একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। আচমকা ওই ট্যাঙ্ক থেকে শুরু হয় গ্যাস লিক। বিষাক্ত গ্যাস লিক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭ জন। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ছত্তীসগড়ের রায়গড়ে একটি কাগজের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭ কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লকডাউনের পর থেকেই কারখানাটি বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার কারখানার একটি ট্যাঙ্ক পরিস্কারের জন্য খোলা হয়। ট্যাঙ্কটি পরিস্কার করতে গিয়েই বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭ কর্মী।
এদিকে, বিশাখাপত্তনমেও এদিন বিষাক্ত গ্যাস লিক করে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গ্যাস লিক করে এক শিশু সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে। অসুস্থদের মধ্যে ৮০ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইতিমধ্যেই বিশাখাপত্তনমের ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, গ্যাস লিক করেছে ২টি ৫০০০ টন ট্যাঙ্ক থেকে।
মার্চ থেকে ট্যাঙ্ক দুটির কোনও দেখভাল করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর মধ্যে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ ছিল। তাই রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরে তাপ উৎপাদন বলে খবর। এরপরেই তা লিক করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment