যে কোনও মুহূর্তে ফিরে আসতে পারে করোনা। তাই লকডাউন তোলা হলেও, তা খুব সাবধানে ও ধীরে ধীরে করতে হবে। এমনই পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরকমই সাবধানবাণী শুনিয়ে ছিলেন চিনা গবেষকরা। তাঁদের দাবি নোভেল করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এই ভাইরাস হয়তো নিজের কার্যক্ষমতা হারাতে পারে বা প্রকোপ কমতে পারে। কিন্তু নির্মূল হবে না। বরং প্রায়ই ফ্লুয়ের মতো রোগ হিসেবে ফিরে আসবে। কখনও কখনও যা ভয়াবহ আকার নেবে।
বেশ কিছু দেশ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে স্কুলের পথে পা বাড়াচ্ছে চিনের কচিকাঁচারা। চিনের দুই বড় শহরে লকডাউন চলছিল করোনা আতঙ্কের জেরে। তার প্রকোপ কমছে। নরওয়ের প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলা হয়েছে। সুইজারল্যাণ্ডের কিছু দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। লকডাউনে শিথিলতা আনা হচ্ছে নিউজিল্যাণ্ডে। সেদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের ভয় আর নেই বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্দা আর্দেন।
ঠিক এই কারণেই হু সতর্ক করেছে খুব ধীরে লকডাউন তোলার রাস্তায় হাঁটতে হবে। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাস জানিয়েছেন, করোনা ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে। ভাইরাস হামলায় মৃত্যুর তালিকা বিশ্লেষণ করে ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, ইতালিকে টপকে এখন বিশ্বে দ্বিতীয় তথা ইউরোপে সর্বাধিক মৃতের দেশ ইংল্যান্ড।
সর্বশেষ রিপোর্ট, ইংল্যান্ডে মৃত ২৯,৪২৭ জন। আর ইতালিতে মৃত ২৯,৩১৫ জন। তবে ইতালির তুলনায় ইংল্যান্ডে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে চলল। গত সপ্তাহতেই এমনই আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা মিলে গেছে ইংল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি।
ফের ২৪ ঘন্টায় ২ হাজারের বেশি মৃত্যু। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য দেখাচ্ছে বুধবার মার্কিন মুলুকে করোনায় ফের মৃত্যু হয়েছে ২০৭৩ জনের। বুধবারের মৃত্যুর জেরে মার্কিন মুলুকে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৭৩ হাজার। সে দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৫ জনের। লাফিয়ে মৃত্যু রুখতে পারছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশের মধ্যে নিউ ইয়র্কের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ২০৪ জনের। এরপরেই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে আক্রান্ত ১লক্ষ ৩১ হাজার মানুষ। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজারের অধিক। মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী এই শহর ভিত্তিক রিপোর্ট সামনে এসেছে।
Be the first to comment