মিরাকেল! করোনা যুদ্ধে ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও সুস্থ টালিগঞ্জের বাসিন্দা

Spread the love

৫২ বছরের টালিগঞ্জের এক বাসিন্দা ২৯ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ তিনি সুস্থ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে। টানা ৩৮ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে থাকতে হয়েছে ভেন্টিলেশনে। তাও শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে হার মানেননি তিনি। সুস্থ হযে উঠেছেন। স্বাভাবিক কারণে তাঁর লড়াইয়ে উচ্ছ্বসিত সকলেই। আজ হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়ার সময় সকলে তাঁকে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানাতে ভোলেননি।

টালিগঞ্জের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী কলকাতা কেন সারা রাজ্যেই পরিচিতি। ফুটপাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা কেউ হাসপাতালে যেতে পারছে না, কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, সবকিছুর ত্রাতা ছিলেন এই কর্মী। তাঁর অ্যাম্বুলেন্স ছিল বহু মানুষের ভরসা। সকাল থেকে রাত ২৪ ঘন্টা তাঁর অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকত। আর সেই মানুষটিই ২৯ শে মার্চ জ্বর, গায়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা কোনরকম দেরি না করে দ্রুত তাঁকে ভেন্টিলেশনে ভর্তি করেন। কৃত্রিম ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করলেও তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে, এমনকি তার মাল্টিঅর্গান ফেইলিওরও হতে থাকে।

তবে হাসপাতালের মেডিকেল টিম দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করে। আর সেই লড়াইয়ের ফল মেলে গত ২ মে। ওইদিনই ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে লড়াই করার পর ওই ব্যক্তিকে বার করা হয়। যদিও এরপরে আরও পাঁচ দিন এইচডিইউ–তে রাখা হয় তাঁকে। তারপর শুক্রবার তাঁকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ছাড়া হয়। আমরি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন, এটি সকলের কৃতিত্ব। হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী সহ সমস্ত ধরনের কর্মীরা একযোগে কাজ করার ফল এই অভূতপূর্ব সাফল্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*