দেশ জুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। ১৭ মে সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। রবিবার নিজেই ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। সেসব ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে লকডাউনের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত সব যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
অবশেষে সেই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রেলের। প্রাথমিকভাবে দিনে ১৫ টি করে ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে এই ট্রেনগুলি চালানো হবে দিল্লি থেকে। রাজধানী শহর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে যাবে এইসব যাত্রীবাহী ট্রেন। ১১ মে বিকেল ৪ টে থেকে শুরু হবে রেলের বুকিং।
দিল্লি থেকে যেসব জায়গায় প্রাথমিকভাবে ট্রেন চালানো হবে, সেগুলি হল, ডিব্রুগড়, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাদগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রা, আমেদাবাদ ও জম্মু তাউই।
যাদের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই, তাদেরকেই স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে ও ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হবে। এছাড়া যাত্রীরা মাস্ক পরে, তবেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। কোনও ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালানো হচ্ছে না। কেবলমাত্র মালবাহী ট্রেন চালানো হচ্ছিল। যদিও মে মাসের শুরু থেকে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।
এদিকে রবিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে প্রত্যেকদিন ৩০০ টি করে ট্রেন চালানো হবে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই যাতে শ্রমিকেরা নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তার জন্য রাজ্যগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
রবিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৩৬টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছে আর তাতে ফিরতে পেরেছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। ২৮৭ টি ট্রেন ইতিমধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছেছে, বাকিগুলি রাস্তায় আছে।
এদিন ট্যুইট করে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে, প্রত্যেকদিন ৩০০টি করে ট্রেন চালানো হবে। রাজ্যগুলিকে শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে অনুমোদন দিতে বলেছেন তিনি।
Be the first to comment