তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। তারপর কী হবে, তা নিয়েই সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মোট চারটি রাজ্যে লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, লকডাউন বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। একই মত পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীদেরও। তবে কতদিন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন, ‘আমাদের মতামত কেউ নিচ্ছে না। কঠিন সময়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র।’
লকডাউন বা লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন মোদী। আর সেই বৈঠকে এদিন যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর মতে কিছু কিছু রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্র ‘স্ক্রিপ্ট’ অনুযায়ী কাজ করছে বলেই উল্লেখ করেন মমতা।
কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কেন্দ্র কেন রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানোর আগে রাজ্যের মতামত নেওয়া হল না।
অন্যদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে চলতি মাসে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা চালু করা না হয়। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি দাবি করেছেন যাতে সোশ্যাল নিয়ম মেনে কৃষি ক্ষেত্র, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল চালু করা হয়। এতে অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে বলে মেন করছেন তিনি।
সোমবারের পাওয়া তথ্য বলছে রবিবার দেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বাধিক। আক্রান্ত হয়েছেন ৪২১৩ জন। যা কিনা এখন অবধি রেকর্ড। অন্যদিকে দেশের মধ্যে এখনও সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরেই এই তালিকায় রয়েছে গুজরাত, ৩ নম্বরে জায়গা নিয়েছে রাজধানী দিল্লি।
মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ৯১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২০৬ জনের। বর্তমানে দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৪৪ হাজার ২৯ টি। অন্যদিকে হু জানিয়েছে, ভারত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে জুলাই-শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছাবে। জুলাইয়ের শেষে হবে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এরপরই ভারত আসতে আসতে করোনা মুক্ত হবে বা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা মোকাবিলা টিমের বিশেষ সদস্য ডাঃ ডেভিড ন্যাবারো।
Be the first to comment