রেড জোন মানেই এলাকা পুরোপুরি সিল৷ অনেকটা বন্দিদশা অবস্থা৷ এবার সেই রেড জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে৷ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রেড জোনের কোন ভাগে কতটা ছাড়,দেখুন একনজরে:
রেড জোন এ: কোনও ছাড় নয়৷
রেড জোন বি: সামাজিক দূরত্ব মানলে ছাড়৷
রেড জোন সি: কনটেন্টমেন্ট জোনের বাইরের এলাকায় প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে৷
তবে রেড জোনের তিনটি ভাগের কোথায় কী ছাড় দেওয়া হবে তা ঠিক করবে পুলিশ৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে সবকটা জোন ভাগ করবে পুলিশ৷
বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রেও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বেসরকারি বাস নিজের মতো ভাড়া ঠিক করবে৷ সরকার সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না৷ আগেই বলা হয়েছে গ্রিন জোনে বাস ও ট্যাক্সি জেলার মধ্যে চলবে৷
মমতা এদিন আরও বলেন, সোনার দোকান, খাবারের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান খুলতে পারে৷ তবে সেখানে ভিড় হবে না৷ ১২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খাবার দোকান খোলা রাখা যাবে৷
লকডাউন চলবে, কঠোরভাবেই চলবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। বাইরে থেকে এলে জানিয়ে আসুন। কয়েক লক্ষ লোক বাইরে থেকে আসছে।
বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের রাজ্যেই কাজ দেওয়া হবে। সেই নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে। সরকার চায় ১০০ দিনের কাজ, সোনার কাজ, ক্ষুদ্রশিল্পে নতুন লোক আসুক৷
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পালনের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধাপে ধাপে বাড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে বড়সড় বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রুজি-রোজগার হারিয়েছেন বহু মানুষ।
এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এখনই বেশ কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে একথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা রুখতে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ থাকবে। তবে অন্য এলাকাগুলিতে যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যায় সেব্যাপারে তৎপরতা নিচ্ছে সরকার। বিড়ি শিল্পে বর্তমানে ৫০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছেন।
চা বাগানগুলিতেও ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ শ্রমিকের হাজিরায় কাজ চলছে। রাজ্যে আর্থিক ক্ষেত্রে গতি আনতে এবার আমদানি-রফতানি পরিষেবাও চালু করা হচ্ছে।
এরই পাশাপাশি খুলছে জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্স-সহ বেশ কিছু দোকান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পনা না করে লকডাউন ঘোষণা করায় সমস্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া, রেশন বণ্টন-সহ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের খরচ বিপুল বেড়েছে। পুরো স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয় তো এখনই হবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে।’
Be the first to comment