‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ অর্থের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ বুধবার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় মূলত ফোকাসে থাকল দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত করদাতা, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চাকুরিজীবীরা৷
অর্থমন্ত্রী এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক কী কী ঘোষণা করলেন, একনজরে দেখে নিন৷
১. ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি অনেক সময়ই বিদেশি সংস্থার সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়৷ তাই মেক ইন ইন্ডিয়া-কে জোর দিতে ও ক্ষদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসা বাড়াতে গ্লোবাল টেন্ডারে বড়সড় স্বস্তি দেওয়া হল৷ সরকারের টেন্ডারের ক্ষেত্রে ২০০ কোটি পর্যন্ত গ্লোবাল টেন্ডার করা হবে না৷
২. এই আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে ৬টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য, দুটি ইপিএফও, দুটি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আবাসন শিল্পের জন্য, discoms-এর জন্য একটি, একটি কন্ট্র্যাক্টরদের জন্য, তিনটি আয়কর৷
৩. কর্মীদের থেকে ১০ শতাংশ কাটা হবে পিএফ-এর টাকা কাটা হবে আগামী ৩ মাস৷ আগামী তিন মাস চাকরিদাতাদের জন্য ইপিএফ-এর ১২ শতাংশ দিতে হবে না, দিতে হবে ১০ শতাংশ৷
৪. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবংকুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে৷
৫. কেন্দ্রের ৩ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজে ৪৫ লক্ষ ইউনিট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট উপকৃত হবেন৷
৬. নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ লিকুইডিটি স্কিম ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী৷ আরবিআই ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে নগদের জোগান দেবে৷ তার গ্যারান্টি নেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷
৭. যাঁদের মাইনে ১৫ হাজার টাকার কম, তাঁদের আগামী তিনমাস পিএফ-এর টাকা সরকার দেবে৷ তাঁদের মাইনে থেকে কাটা হবে না৷
৮. টিডিএস এবং টিসিএস-এর হার ২৫ শতাংশ কমানো হলো৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা থাকবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ সব ধরনের পেমেন্ট-এর ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে৷ ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে৷
৯. ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হচ্ছে।
Be the first to comment