পরিযায়ীদের বাঁচাতে রাজ্যের হাতিয়ার ১০০ দিনের কাজ, তৈরি হচ্ছে কাজের তালিকা

Spread the love

ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দিতে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই কাজে একশো দিনের কাজকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। নবান্নের খবর অনুযায়ী, বাইরের রাজ্য থেকে যে সব শ্রমিক ঘরে ফিরে আসবেন তাদের একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নিযুক্ত করা হবে। তার জন্য পঞ্চায়েত, মৎস্য, সেচ, বনদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগকে কাজের ফর্দ তৈরি করতে বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে যে সব কাজ হয়ে থাকে যেমন পুকুর ও খাল কাটা, নদী বাঁধ মেরামতির পাশাপাশি দপ্তরগুলিকে নতুন কাজের সন্ধান করতে বলা হয়েছে। যাতে আরও বেশি মানুষকে জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে কাজ দেওয়া যায়। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরকে তার একটি ভবিষ্যত রূপরেখা তৈরি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক এবং রাজ্যের সবকটি জেলার ডিএম’দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দিতে একশো দিনের কাজকে আরও বেশি করে কাজে লাগাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বৈঠকে জানান, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি শ্রমদিবসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। তার জন্য যে সব কাজ এখনও পর্যন্ত এর অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। গ্রামে কর্মসংস্থান বাড়াতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও কাজে লাগাতে বলেছেন তিনি।

করোনার জেরে আগামী দিনে সারা দেশে ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাবড় অর্থনীতিবিদরা। সে কথা মাথায় রেখে গ্রামে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে একশো দিনের কাজকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারও। একশো দিনের কাজের মজুরির টাকা সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকা মেটাতে কেন্দ্র দেরি করে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে রাজ্যগুলি।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ শেষ হতে না হতেই টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে এ রাজ্যে একশো দিনের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়ে গিয়েছেন সবাই। লকডাউন ঘোষণার আগে ও পরে যারা গ্রামে ফিরেছেন তাদের অনেকেই একশো দিনের কাজে যোগ দিতে চাইছেন। তাদের অনেকের কাছে জব কার্ড না থাকায় গ্রামে গন্ডগোলের ঘটনাও ঘটছে। তাই পঞ্চায়েত দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের জব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

১। পরিযায়ী শ্রমিকদের একশো দিনের কাজে ঢোকানো হবে
২। নতুন কাজ খুঁজে বের করা হবে
৩। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ
৪। মিলবে ব্যাঙ্ক ঋণ
৫। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো হবে
৬। জল সংরক্ষণ, পুকুর কাটা, মৎস্য চাষে জোর

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*