লকডাউন না উঠলে খুলবে না হাইকোর্ট

Spread the love

লকডাউনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্য কয়েকটি রাজ্যের হাইকোর্ট নিয়মিত কাজকর্ম চালু করার তোড়জোড় শুরু করলেও কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত সেই পথে হাঁটছে না। সরকার লকডাউন না-তোলা পর্যন্ত চালু হবে না কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ, হাইকোর্টের কর্মী-অফিসার থেকে আইনজীবীদের অনেকে ট্রেন, বাস, মেট্রো রেলে করে আদালতে আসেন। ফলে, গণ পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না-হলে আদালত চালু করা সম্ভব নয়, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ।

এ দিন বর্ষীয়ান বিচারপতিদের উপস্থিতিতে হাইকোর্টের তিনটি বারের বৈঠক হয়। সেখানে লকডাউনের মধ্যে আদালত না-খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি লকডাউন শেষ হওয়ার পর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মেনে কোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাব বারগুলোকে হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হয়েছে। তবে বারগুলোয় একই সময়ে ২৫ শতাংশের বেশি আইনজীবীকে একসঙ্গে বসতে না-দেওয়ার মতো প্রস্তাব তাদের সদস্যদের অনেকে আদৌ মানবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনটি বারের সঙ্গে বৈঠকের পর কিছু সিদ্ধান্ত ও কিছু প্রস্তাব হাইকোর্ট লিখিত ভাবে বারগুলোর কর্তাদের পাঠিয়েছে। তবে লকডাউন ওঠার পরেও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ভবিষ্যতের কথা ভেবে হাইকোর্ট আগাম বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন, পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে সব এজলাস রোজ বসবে না। ২৭টি এজলাস বসানোর যদি সুযোগ থাকে, তা হলে তার অর্ধেক যদি কোনও সপ্তাহে তিন দিন বসে, তা হলে পরের সপ্তাহে ওই এজলাসগুলো দু’দিন বসবে। বাকি এজলাসগুলো প্রথম সপ্তাহে দু’দিন বসলে পরের সপ্তাহে তিন দিন বসবে। তাতে ভিড় কমবে। ঠিক হয়েছে, মামলা চলাকালীন বিচারপতি ও তিন জন কর্মী বাদে মোট ছ’জনের বেশি আইনজীবী এজলাসে ঢুকতে পারবেন না।

এমনকী, কোনও ক্ষেত্রে মক্কেলের উপস্থিতি জরুরি হলেও এজলাসে উপস্থিত মোট লোকের সংখ্যা ১০ জনের বেশি হবে না। আর যদি একান্তই কোনও মামলায় ছ’জনের বেশি আইনজীবীর উপস্থিতি জরুরি হয়, সেক্ষেত্রে আগাম জানানোর পর সেই মামলা হাইকোর্টের সাধারণ ঘরগুলোর পরিবর্তে ১, ৮, ১১, ১২ বা ১৬ নম্বরের মতো ঘরে, অর্থাৎ তুলনায় বড় ঘরগুলোয় হবে। কিন্তু সেখানেও আট জনের বেশি আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

আদালত চালু হওয়ার পর প্রথম দিকে কাজের দিনে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত ভিডিয়ো কনফারেন্সে মামলা মেনশন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে একসঙ্গে সাতটি কোর্টে এই কাজ চলবে। যদি বোঝা যায়, এই সব নিয়ম মানা হচ্ছে না, তা হলে প্রধান বিচারপতি আদালত বন্ধ করে দিতে পারেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*