মুম্বই, পুনে-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক শহরে বাড়বে লকডাউন

Spread the love

করোনা মোকাবিলায় আপাতত ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন রয়েছে ভারতে। এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের আগেই মহারাষ্ট্রের একাধিক শহরে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের শিল্পমন্ত্রী সুভাষ দেশাই।

এদিন মন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সব মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত মনে করা হচ্ছে ৩১ মে পর্যন্ত বাড়তে চলেছে এই লকডাউন। সুভাষ দেশাই বলেন, “বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা বিচার করে আমরা মুম্বই, পুনে, থানে, মালেগাঁও, ঔরঙ্গাবাদ, শোলাপুর প্রভৃতি বড় শহরে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। সবার আগে সরকার মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভাবছে। তারপর শিল্প ও বাণিজ্যের কথা ভাবা হচ্ছে।”

কেন্দ্রের কাছে মুম্বইয়ের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। কারণ অর্থনীতিকে ফের তুলে ধরতে এই আর্থিক প্যাকেজের খুব দরকার বলেই জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থনীতি ফের চালু করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

লকডাউনের পরে মহারাষ্ট্রে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা অনেকেই নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। এই সমস্যা দূর করতে একটি এমপ্লয়মেন্ট ব্যুরো খোলার কথা ভাবছে সরকার। দেশাই জানিয়েছেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এমপ্লয়মেন্ট ব্যুরো খোলা হবে। এর মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। স্কিল্ড, সেমি-স্কিল্ড ও আনস্কিল্ড এই তিন ধরনের কর্মীদেরই নথিভুক্ত করা হবে। তারপর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে, তারা কী ধরনের কর্মী চায়। সেখানে সেইমতো কর্মীদের পাঠানো হবে।”

বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যে ৪০ হাজার হেক্টর ফাঁকা জমি রয়েছে। বিদ্যুৎ, জল, জমি সব যখন রয়েছে, তখন বাইরে থেকে নিশ্চয় বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ পাবেন। কী ভাবে এই জমি ব্যবহার করে রাজ্যে বিনিয়োগকারীদের আনা যায়, সেই পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।”

মহারাষ্ট্রে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মে মাসের মধ্যে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার সিংহভাগ হবে মুম্বইয়ে। আর মুম্বই শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের নয়, গোটা ভারতের বাণিজ্যনগরী। তাই সংক্রমণ রুখে অর্থনীতিকে চালু করতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরে সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*