রাজ্যে গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হল আর ১০ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮৪ জন। আজ প্রথম একদিনে ৬৭০৬ জনের করোনা পরীক্ষা হল। এটা একটা নজির। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কলকাতাতে পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। তাই শহরের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গতকালের নিরিখে আবারও কমল। উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। ৩৩৯ থেকে একধাক্কায় কমে হয়েছে ২৮৬। রাজ্যে শুক্রবারের হিসেবে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন ২৪৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গিয়েছেন ১০ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে শুধুমাত্র করোনা কারণে মৃত ১৫৩। বৃহস্পতিবার ৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এদিকে শুক্রবার রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ করোনা টেস্ট করা হয়েছে। গতদিন এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৫২০৫। তারও আগের দিন টেস্ট হয়েছে ৫০১০টি। আর এদিন ২১টি ল্যাবরেটরিতে ৬৭০৬টি পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যে মোট ৬৯ হাজার ৫৪৩টি অর্থাৎ প্রায় ৭০ হাজার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের কর্মী আবাসনের বাসিন্দা দুই কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসায় উদ্বেগ বেড়েছে।
কলকাতায় এদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩, গতদিন এই সংখ্যা ছিল ৩১। এর আগের দিন ছিল ৮৫। এঁদের মধ্যে ৩৫ জন সিআইএসএফ জওয়ান। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, অনবরত নজরদারি এবং মানুষকে সচেতন ও সাহায্য করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার তিন জন এবং হাওড়ার দুজন মারা গিয়েছেন।
নতুন করে সংক্রমনের ক্ষেত্রে কলকাতা বাদে বেশি আক্রান্ত হাওড়ার ২৭ জন। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা চারজন করে, হুগলির একজন, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানের দুজন করে এবং উত্তর দিনাজপুরের একজন আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় মোট আক্রান্ত ১২০০-র মধ্যে করোনা কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯৯। হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে ২৪ জন করে। রাজ্যে এদিনের ৬১ জনকে ধরলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৮২৯ জন। শুক্রবারের হিসেবে একটিভ করোনা আক্রান্ত ১৪০৭ জন।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কর্মী আবাসনের আক্রান্ত দু’জনেই হাসপাতালের কর্মী। এদিন দুপুরে দুই কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তারপরই ওই আবাসনটির ঢোকা এবং বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই আবাসনটি কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাসপাতালের স্বাভাবিক সাফাইয়ের কাজ চালু রাখতে অন্য কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। আবাসনের সর্বত্র স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে। দু’ সপ্তাহ পর ফের আবাসনটির অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। স্যানিটাইজ করা হবে। আর কোনও ব্যক্তি আক্রান্ত হন কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
Be the first to comment