আলোচনা-পর্যলোচনা পেরিয়ে এবার ঘোষণার সময়। শনিবারই ঘোষিত হতে পারে লকডাউন ৪.০। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এবার কি হতে চলেছে। শিথিলতা কমানো হবে নাকি রেড জোনের সংখ্যা কমবে, উঠে আসছে এরকম হাজারো প্রশ্ন। তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নজরে রয়েছে তিরিশটি পুরসভা এলাকা, যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ শতাংশের ওপরে।
এই সব এলাকাগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র। শুক্রবার এই এলাকাগুলি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বিশেষ বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। উপস্থিত থাকার কথা এই পুরসভার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের। পুরসভার চেয়ারম্যানরা আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে। শনিবার এই বৈঠক হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সদর দফতরে। কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, আলোচ্য বিষয় সেটাই। এই পুরসভা এলাকাগুলিতে আরও বেশি কড়াকড়ি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, ১৬ই মে অর্থাৎ শনিবার ঘোষণা করা হবে লকডাউন ৪.০। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আর নতুন করে কোনও ভাষণ দেবেন না, শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে নতুন গাইডলাইন জারি করা হবে। তবে এবারের লকডাউন যে আগের গুলোর থেকে একেবারেই আলাদা হবে, সেই ইঙ্গিতও আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই গাইডলাইন তৈরি করতে শুক্রবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন অমিত শাহ।
যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, অন্যান্য মন্ত্রকের আধিকারিকরাও ছিলেন উপস্থিত। ফলে শনিবার চতুর্থ দফার গাইড লাইন প্রকাশ হওয়া নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে যে লকডাউন শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয় ১৪ এপ্রিল।
এরপর সেই লকডাউন ফের বাড়ানো হয় ৩ মে পর্যন্ত। এরপর ১৭ মে পর্যন্ত আবার লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউনে বাণিজ্যিক কাজকর্মে কিছু পরিবর্তন আসবে আর সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে নিজেদের সুরক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। তবে ট্রেন চলবে না।
কারণ জুনের শেষ পর্যন্ত সব ট্রেনের টিকিট বাতিল করা হয়েছে। দেশের মধ্যে কিছু কিছু রুটে ট্রেন চলবে। তবে সেটা সংখ্যায় খুবই কম। পরে সেটা আস্তে আস্তে বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও একাধিক রাজ্য ট্রেন এবং বিমান চালানোর বিরোধিতা করেছে।
Be the first to comment