একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। কোথাও প্রাণ হারাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, কোথাও গুরুতর আহত হচ্ছেন। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল বাংলাও। রবিবার সকালে এক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির দিকে যাচ্ছিল বাসটি। আচমকাই ধুপগুড়ি ব্লকের কাছে বাসটি উলটে যায়। রবিবার সকালে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক। সূত্রের খবর বাসটির চালক পলাতক।
এই শ্রমিকরা প্রত্যেকেই সাহুডাঙ্গির একটি ইঁটভাঁটায় কাজ করত বলে খবর। বাসটি ওই শ্রমিকদের নিয়ে কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল। যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজন শিশু ও চারজন মহিলা রয়েছেন। প্রত্যেককেই ধুপগুড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, শনিবার ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ২৪ পরিযায়ী শ্রমিকের। উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ২৪ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হন আরও অনেকজন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকেরা রাজস্থান থেকে আসছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, একটি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কিন্তু আউরাইয়াতে অন্য একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দেয় পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রাকে। ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
এই ঘটনাকেই তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকদের খুন করা হচ্ছে। হিন্দিতে শনিবার সকালে ট্যুইট করে শ্রমিকদের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন অখিলেশ।
তিনি বলেন আহতদের সেরে ওঠার জন্য প্রার্থনা করছি। দেখি প্রশাসন নির্দয়ের মত কতক্ষণ চুপ করে থাকতে পারে। অন্যায়ের বিচার হবেই। দোষীরা শাস্তি পাবেই। এই ধরণের ঘটনা খুনের সামিল। প্রশাসন সব জেনে বুঝেও চুপ করে রয়েছে।
এদিন আউরাইয়ার ডিএম অভিষেক সিং জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৩ টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। শ্রমিকদের বেশিরভাগই বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস ও একটি লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ৫৪ জন। ওই দিন সকালেই অপর একটি দুর্ঘটনা ঘটে। উত্তরপ্রদেশে ৬ পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর দিয়ে চলে যায় সরকারি বাস। ঘটনায় আহত হন দুই পরিযায়ী শ্রমিক।
Be the first to comment