করোনা সঙ্কটে সব রাজ্যেরই আয় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যই কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছিল৷ বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যা দিতে বসে রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ দাবি করলেন, করোনা সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার কোটি সাহায্য করা হয়েছে৷ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যগুলির বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য অগ্রিম ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে করোনার মোকাবিলার জন্য আরও ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন৷
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন স্বীকার করেছেন, করোনা সঙ্কটের ধাক্কায় রাজ্যগুলির আয় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ সেই কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলি ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে৷ সেই দাবিও পূরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এবার থেকে নিজেদের জিডিপি-র ৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে রাজ্যগুলি৷ এতদিন যা ছিল রাজ্যগুলির মোটা আয়ের ৩ শতাংশ৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, এর ফলে অতিরিক্ত ৪ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ পাবে রাজ্যগুলি৷
এর পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রাজ্যগুলিরে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেওয়ার সময়সীমা ১৪ দিন থেকে বাড়িয়ে ২১ দিন করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত নিজেদের মোট অর্থের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে রাজ্যগুলি৷
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন আরও দাবি করেছেন, এপ্রিল এবং মে মাসে রাজস্ব ঘাটতি অনুদান হিসেবে রাজ্যগুলিকে ১২,৩৯০ কোটি টাকা সময় মতোই দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি কেন্দ্রের কর বাবদ আয় কমলেও এপ্রিল মাসে রাজ্যগুলির প্রাপ্য বাবদ ৪৬,০৩৮ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ তবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির বকেয়া এখনও মেটানো হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷
Be the first to comment