বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা, বিমান পরিষেবাও বন্ধ ৩১ মে পর্যন্ত

Spread the love

প্রথমে চালু হবে বলে বলা হলেও শেষপর্যন্ত দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এই সিদ্ধান্ত জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশেও লকডাউন জারি থাকবে। তবে দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু না হলেও বন্দে ভারত মিশনের অধীনে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরানো এবং কার্গো বিমান পরিষেবা চালু থাকবে।

এ ছাড়াও, বিদেশ থেকে আসা ভারতীয়দের অন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বিমানগুলি চলার কথা, তা আগের মতোই চলবে। প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত মিশনের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বিশ্বের ১২টি দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। প্রথম সাত দিনে যাঁদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই কেরল, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির বাসিন্দা। এই তিন রাজ্যে মোট ৩৭টি ফ্লাইট ঢুকেছিল। দ্বিতীয় ধাপে ১৪৯টি ফ্লাইট আসবে। কলকাতা বিমানবন্দরে আগামিকাল, সোমবার এই প্রকল্পে ঢাকায় আটকে থাকা ১৬৯ জন ফিরবেন।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এর আগে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছিল, দেশের অন্তত কয়েকটি শহরের মধ্যে প্রথম ধাপে বিমান পরিষেবা দেওয়ার কাজ ১৮ মে থেকে শুরু করা হবে। সেই তালিকায় দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ছাড়াও বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদও ছিল। সেই অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলি ঢেলে সাজার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যে ভাবে কোভিড সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তাতে এগিয়েও পিছোতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, কিছু শহরের মধ্যে অন্তত বিমান পরিষেবা চালু করার। তাতে বিমান শিল্পে যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, কয়েকটি রুটে পরিষেবা চালু হলে তা কিছুটা পরিমাণ কমানো সম্ভব হত।”

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চতুর্থ দফার লকডাউনে কড়া বিধিনিষেধ বজায় রাখল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

কেন্দ্রের গাইডলাইনে জানানো হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধে সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত কেউই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না৷ তৃতীয় দফার লকডাউনেও এই নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এই নির্দেশিকা পালনে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা এবং কারফিউ জারি করতে পারবে রাজ্য প্রশাসনগুলি৷

পাশাপাশি কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স এবং ১০ বছরের নীচে শিশুরা লকডাউনের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না৷একমাত্র জরুরি প্রয়োজন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে৷

এ দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউন চলবে৷ তৃতীয় দফার লকডাউনেও যে বিধিনিষেধগুলি আরোপ করা হয়েছিল, তাতে খুব বেশি বদল করা হযনি৷ এর থেকেই স্পষ্ট, করোনা সংক্রমণ নিয়ে এখনই কোনওরকম শিথিলতা দেখাতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার৷

এ দিনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির স্থানীয় প্রশাসন যদিও মনে করে, তাহলে কন্টেইনমেন্ট জোন সহ অন্যান্য এলাকাগুলিতেও আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করা যাবে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*