ক্রমে শক্তিশালী থেকে অতি শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এগিয়ে আসছে রাজ্যের দিকে। আশঙ্কা, এই রাজ্যের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে এই ঝড় আছড়ে পড়বে। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। যা ক্রমেই উস্কে দিচ্ছে ভয়ানক আয়লার স্মৃতি।
আবহওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে, তবে সেই বৃষ্টির পরিমাণ প্রথমে সামান্য থাকবে। তারপর মঙ্গলবার থেকে তীব্র বৃষ্টি হবে বাংলায়। ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার রাতে বলা হয়েছিল ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তিশালী ঝড়ের আকার ধারণ করবে আমফান। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে, তাই বলা চলে ইতিমধ্যে ভয়ঙ্কর ঝড়ের আকার ধারণ করেছে এটি।
ইতিমধ্যে ওড়িশার স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম খালি করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, ওড়িশায় যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ইতিমধ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ১৭টি শাখা দল।
মূলত রাজ্যের দিকে আমফানের গতিমূখ হওয়ায় আশঙ্কায় ভূগছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ঝড়ের ভয়ানক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ১০টি জেলায়ও রয়েছে বিপদের সংকেত।
Be the first to comment