আমফান নিয়ে মোদীর বৈঠক জানানোই হল না নবান্নকে, চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান। বাংলাতেই আছড়ে পড়ার কথা সাইক্লোনের। যদিও কিছুটা প্রভাব পড়বে ওডিশাতেও। একদিকে করোনা অন্যদিকে সাইক্লোন আমফান। সোশ্যাল ডিসটেস্ট মেনে ভয়ঙ্কর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জের। এই অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেল চারটের সময় এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এদিনের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারকে। এই বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা রাজ্যের কোনও আধিকারিককে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি বলে দাবি নবান্নের।

যেখানে ভয়ঙ্কর ঝড় বাংলায় আছড়ে পড়ার কথার রয়েছে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ডাকাই হল না মুখ্যমন্ত্রীকে। কেন্দ্রের এই ভূমিকাতে চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে না জানিয়ে রেসিডেন্ট কমিশনারকে কীভাবে এই বৈঠকে ডাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন নবান্নের।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগেই সতর্ক করেছে আমফান সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলগুলিতে বুধবার নাগাদ তা আছড়ে পরবে বলেও জানানো হয়েছে।

ইন্ডিয়ান মিটিরিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট সোমবার সকালে জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে সাইক্লোন আমফান। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশার জন্য জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সোমবার ভোরেই এই খবর জানিয়েছেন মৌসম ভবন। এদিন ভোরে জানানো হয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে পৌঁছে গিয়েছে ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবনের আপডেট অনুযায়ী, সেইসময় ঝড়টি অবস্থান করছিল ওডিশঅর পারাদ্বীপ থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম আকার ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগ এলে বাসিন্দাদের সরানোর জায়গা তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই মানুষজনকে ফ্লাড সেন্টারে এনে রাখা হবে।

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে এনডিআরএফ-র এই সাতটি দল পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ওডিশার পুরি, জগৎশিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর, জপুর, ভদ্রক ও ময়ূরভঞ্জে ১০ টি দলকে পাঠানো হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*