গত প্রায় ২ মাস ধরে চলছে লকডাউন। থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তার জেরে টান পড়েছে সরকারের রাজস্ব আদায়ে। উপরন্তু বেড়েছে খরচ। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের এমন সঙ্কটে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সহযোগিতা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তা, রাজনীতি ভুলে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।
নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে দিনভর আমফান পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”এর আগে আয়লা হয়ে গিয়েছিল। ফণীতেও সাহায্য করেছি প্রচুর মানুষকে। একদিকে কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ। অর্থ নেই বললেই চলে। আজ চোখের সামনে যে ধ্বংস দেখলাম, এই তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে গেলে মানুষকে সাথে নিয়ে লড়াই করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে আবেদন, রাজনীতির না দেখে মানবিকতা দিয়ে দেখুন।”
মমতা আরও বলেন,”একদিকে কোভিড দুর্যোগ, পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছে, এদিকে ঝড় দুর্যোগ। সাংঘাতিক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি আমরা। আমি আজ নিজে উপলব্ধি করলাম। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। টোটালটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ, রাস্তা, ঘরবাড়ি সবটা। সব খবর তো এখনও পাইনি। বিডিও,এসডিও সকলে আছেন। যা খবর পাচ্ছি, ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বেশিরভাগই গাছ ভেঙে মারা গিয়েছে। ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। পুরোটা ক্যালকুলেট করতে পারিনি। বিদ্যুত সংযোগ নেই। স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে। মাস ছয়েক আগে বুলবুল থেকে বাঁচাতে টোটালটা মেরামত করে দিয়েছিলাম।”
Be the first to comment